শিক্ষামন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেল বলেছেন, বাংলাদেশের উচ্চশিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোতে প্রায় ৪৫ লাখ শিক্ষার্থী অধ্যয়নরত। বিপুল সংখ্যক শিক্ষার্থীর সার্টিফিকেট সংরক্ষণে ডিজিটাল সনদ ব্যাংক গড়ে তোলা প্রয়োজন। সেখানে শিক্ষার্থীদের সব তথ্যের রেকর্ড থাকবে। বিডিরেন এক্ষেত্রে শিক্ষার্থীদের পোর্টফোলিও তৈরিতে সহায়তা করতে পারে।
রোববার (৭ জুলাই) রাজধানীর গুলশান-তেজগাঁওয়ে বাংলাদেশ রিসার্চ অ্যান্ড এডুকেশন নেটওয়ার্কের (বিডিরেন) নতুন কার্যালয় উদ্বোধন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
শিক্ষামন্ত্রী বলেন, বিডিরেন সময়োপযোগী ডিজিটাল প্ল্যাটফর্ম তৈরির মাধ্যমে দেশের অধিকাংশ পাবলিক ও প্রাইভেট বিশ্ববিদ্যালয়সহ অনেকগুলো গবেষণা ও উচ্চ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানকে একক নেটওয়ার্কের আওতায় আনতে সক্ষম হয়েছে। বিডিরেন নেটওয়ার্কের আওতাভুক্ত প্রতিষ্ঠানগুলো ডিজিটাল প্ল্যাটফর্মের সুবিধা নিয়ে স্মার্ট বাংলাদেশ গঠনে দক্ষ জনবল তৈরিতে অবদান রাখছে।
মহিবুল হাসান চৌধুরী বলেন, দেশের উচ্চশিক্ষা ক্ষেত্রে বিডিরেন বৈপ্লবিক পরিবর্তন নিয়ে এসেছে। দেশের উচ্চশিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীরা বিডিরেন থেকে সরাসরি শিক্ষা ও গবেষণা সংক্রান্ত নানা ধরনের ডিজিটাল সেবা নিতে পারেন।
অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন বিডিরেন ট্রাস্টের চেয়ারপারসন ও বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের চেয়ারম্যান (অতিরিক্ত দায়িত্ব) অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ আলমগীর।
প্রফেসর আলমগীর বলেন, উচ্চশিক্ষা ক্ষেত্রে কাঠামোগত পরিবর্তন দরকার। ইউজিসি এ লক্ষ্যে কাজ করছে। কাঠামোগত পরিবর্তনে সরকার বিডিরেন প্রতিষ্ঠা করেছে। তিনি বিডিরেনকে স্বাধীনভাবে ও স্বচ্ছতার সঙ্গে কাজ করার আহ্বান জানান।
অন্যদের মধ্যে বক্তব্য দেন ইউজিসি সদস্য অধ্যাপক ড. মো. সাজ্জাদ হোসেন, অধ্যাপক ড. হাসিনা খান, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. আবু তাহের, ইউজিসির সাবেক সদস্য অধ্যাপক ড. মো. আখতার হোসেন ও অধ্যাপক ড. দিল আফরোজা বেগম প্রমুখ।