রফতানি উন্নয়ন ব্যুরোর (ইপিবি) পরিসংখ্যান বিশ্লেষণ করে তৈরি পোশাকশিল্প মালিকদের সংগঠন বিজিএমইএ এ তথ্য জানিয়েছে।
এতে দেখা যায়, চলতি অর্থবছরের প্রথম ১১ মাসে ৪ হাজার ৩৮৫ কোটি ডলারের তৈরি পোশাক রফতানি হয়েছে। এই রফতানি গত অর্থবছরের একই সময়ের তুলনায় ২ দশমিক ৮৬ শতাংশ বেশি।
ইইউর মধ্যে বাংলাদেশে তৈরি পোশাকের বড় বাজার জার্মানি ও ইতালি। চলতি অর্থবছরের জুলাই থেকে মে পর্যন্ত ১১ মাসে জার্মানির বাজারে ৫৪২ কোটি ডলারের তৈরি পোশাক রফতানি করেছে। এই রফতানি গত অর্থবছরের একই সময়ের তুলনায় ১০ দশমিক ১২ শতাংশ কম। একই সময় ইতালির বাজারে পণ্য রফতানি করেছে ১৯৩ কোটি ডলার; যা গত অর্থবছরের একই সময়ের চেয়ে ৬ দশমিক ১০ শতাংশ কম।
এদিকে যুক্তরাষ্ট্রের বাজারে পোশাক রফতানির নেতিবাচক ধারা থেকে এখনও বের হতে পারেনি বাংলাদেশ। চলতি অর্থবছরের জুলাই-মে পর্যন্ত যুক্তরাষ্ট্রে ৭৪৭ কোটি ডলারের তৈরি পোশাক রফতানি করেছে বাংলাদেশ। রফতানির এ অংক গত অর্থবছরের একই সময়ের চেয়ে ৩ দশমিক ৪৩ শতাংশ কম। গত ২০২২-২৩ অর্থবছরে যুক্তরাষ্ট্রে ৭৭৩ কোটি ডলারের তৈরি পোশাক রফতানি হয়। আলোচিত সময়ে কানাডার বাজারেও রফতানি কমেছে দশমিক ৩১ শতাংশ। এ সময় ১৩৮ কোটি ডলারের পোশাক পণ্য রফতানি করা হয়েছে, যা আগের অর্থবছরের একই সময় ছিল ১৩৯ কোটি ডলার।