পবিত্র হজ পালন করতে চলতি বছর সৌদি আরবে যাওয়া মুসল্লিদের জন্য এক অনন্য সুবিধা চালু করেছে সৌদি আরব।
দেশটির পরিবহনমন্ত্রী সালেহ আল জাসের বুধবার (১২ জুন) ড্রোনের মতো দেখতে উড়ন্ত টেক্সি সার্ভিস উদ্বোধন করেছেন। খবর আরব নিউজের।
এ সময় সালেহ আল জাসের বলেন, বিশ্বে সর্ব প্রথম উড়ন্ত টেক্সির লাইসেন্স দিল সৌদি আরব। এবারের হজে হজযাত্রীরা পবিত্র নগরীরর গুরুত্বপূর্ণ স্থানগুলোতে দ্রুততম সময়ের মধ্যে ভ্রমণ করতে পারবেন। এছাড়াও, হজযাত্রীদের বিভিন্ন মালামাল ও স্বাস্থ্যসেবা দিতেও এই উড়ন্ত টেক্সি ব্যবহার করা যাবে।
বুধবার এর উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে আরো উপস্থিত ছিলেন, সৌদি আরবের বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষের প্রধান আব্দুল আজিজ আল-দওলেজ, পরিবহন প্রতিমন্ত্রী রুমাই আল-রুমাই এবং এই উড়ন্ত টেক্সি প্রকল্পের কর্মকর্তরা।
সৌদি পরিবহনমন্ত্রী আগেই ঘোষণা দিয়ে ছিলেন, হজযাত্রীদের সার্বিক সুযোগ-সুবিধা বৃদ্ধির লক্ষ্যে অত্যাধুনিক পরিবহনব্যবস্থার আওতায় এবার উড়ন্ত ট্যাক্সির ব্যবহার করবেন তাঁরা।
পরিবহনমন্ত্রী আল জাসের বলেন, সৌদি আরব এমন আধুনিক পরিবহনসেবা ব্যবহারের ক্ষেত্রে সম্মুখসারির দেশ হতে পেরে গর্বিত। এ আধুনিক পরিবহনব্যবস্থাকে সবচেয়ে বেশি কাজে লাগানো হবে হজযাত্রীওেদর সেবায়।
এবারের হজ মৌসুমে উড়ন্ত ট্যাক্সির পরীক্ষামূলক ব্যবহারের পরিকল্পনার কথা গত বছর ঘোষণা করেছিলেন মন্ত্রী আল জাসের। জেদ্দায় কিং আবদুল আজিজ আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর ও পবিত্র মক্কার হোটেলগুলোর মধ্যে হাজিদের যাতায়াতে ইতিপূর্বে উড়ন্ত ট্যাক্সি পরিচালনায় আগ্রহ দেখিয়েছিল সৌদি অ্যারাবিয়ান এয়ারলাইনস বা সৌদিয়া। এই সেবা দিতে বিমান পরিবহন সংস্থাটির লক্ষ্য আনুমানিক ১০০টি এমন আকাশযান সংগ্রহ করা।
গত জানুয়ারিতেই সৌদিয়া গ্রুপের পরিচালক (করপোরেট কমিউনিকেশন) ও মুখপাত্র আবদুল্লাহ আল শাহরানি এবারের হজ মৌসুমে পরিবহন খাতে এ নতুন মডেল প্রয়োগে তাদের প্রস্তুতি নেয়ার কথা জানান। জেদ্দা বিমানবন্দর এবং মক্কায় পবিত্র মসজিদুল হারাম ও অন্যান্য পবিত্র স্থানের কাছাকাছি আবাসিক হোটেলের মধ্যে হজযাত্রী পরিবহনে ১০০ লিলিয়াম জেট, জার্মান ইলেকট্রিক ভার্টিক্যাল টেক-অফ অ্যান্ড ল্যান্ডিং (ইভিটিওএল) কেনার চুক্তি করে সংস্থাটি।
এসব লিলিয়াম আকাশযান পুরোপুরি বিদ্যুৎ-চালিত ও পরিবেশবান্ধব বলে উল্লেখ করেন সৌদিয়ার এ কর্মকর্তা।