রাজধানীর খিলক্ষেতে গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) সঙ্গে ‘বন্দুকযুদ্ধে’ দুই যুবক নিহত হয়েছেন। পুলিশের দাবি, নিহত দুই যুবক ছিনতাইকারী। ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ (পরিদর্শক) মো. বাচ্চু মিয়া জানান, নিহত দুই যুবক হলেন—এনামুল (৩০) ও রাসেল (২৮)। পরিদর্শক বাচ্চু মিয়া জানান, সোমবার (১৮ মে) ভোর ৪টার দিকে খিলক্ষেত থানার উপপরিদর্শক (এসআই) মোফাখখারুল ইসলাম গুলিবিদ্ধ অবস্থায় দুই যুবককে হাসপাতালে নিয়ে আসেন। কর্তব্যরত চিকিৎসক তাদের মৃত ঘোষণা করেন। মৃতদেহ ময়নাতদন্তের জন্য হাসপাতালের মর্গে রাখা হয়েছে। ডিবি পুলিশের সঙ্গে বন্দুকযুদ্ধে ওই দুই যুবক নিহত হয়েছেন বলে জানতে পেরেছি।
ডিবি গুলশান বিভাগের উপকমিশনার (ডিসি) মশিউর রহমান জানান, গভীর রাতে গণপরিবহন বন্ধ থাকায় কয়েকটি ডাকাত চক্র রাইড শেয়ারের নামে মানুষের সর্বস্ব ডাকাতি করে নেওয়ার অভিযোগ পাওয়া যাচ্ছিল। গোয়েন্দা তথ্য, প্রযুক্তিগত উপাত্তের ভিত্তিতে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা গুলশান বিভাগের একাধিক টিম কুড়িল-বিশ্বরোড ফ্লাইওভার, খিলক্ষেত, কাওলা, ঢাকা-ময়মনসিংহ রোড ও পূর্বাচলগামী ৩০০ ফুট সড়কে টহল জোরদার করে।
ডিসি মশিউর রহমান বলেন, রাত সোয়া ২টার দিকে একটি অটোরিকশাকে চেকপোস্টে থামাতে ইশারা দিলে সেটি দ্রুত বেগে ৩০০ ফুট ফ্লাইওভারের উপর দিয়ে পূর্বাচলের দিকে পালিয়ে যাচ্ছিলো। ডিবি পুলিশের দলটি ব্রিজের মাঝে থাকা দ্বিতীয় দলকে ওয়ারলেসে সতর্ক করলে তারা মাইক্রোবাস আড়াআড়ি দাঁড় করিয়ে পথরোধ করে এবং প্রথম দলটি পেছন থেকে ধাওয়া করে।
কিছুক্ষণ পরে অটোরিকশা থেকে দুজন সন্ত্রাসী নেমে দৌড়ে সামনে যেতে থাকে এবং পুলিশের মাইক্রোবাস লক্ষ্য করে গুলি ছোড়ে। এতে ডিবি পুলিশের একটি মাইক্রোবাসের বাম দিকের কাচ ভেঙে যায়। আত্মরক্ষার্থে আক্রান্ত মাইক্রোবাস থেকে ডিবি পুলিশও পাল্টা গুলি চালায়। এ সময় সন্ত্রাসী এবং পুলিশের মধ্যে ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া এবং গোলাগুলি চলে।
এক পর্যায়ে গোলাগুলি থেমে গেলে সবুজ রঙের একটি অটোরিকশা (ঢাকা মেট্রো থ: ১১-৭৯৪৫) ফ্লাইওভারের সঙ্গে ধাক্কা খাওয়া অবস্থায় পাওয়া যায়। সেটির ড্রাইভারের সিট এবং দ্বিতীয় সিট থেকে দুজনকে আটক করা হয়। কিছু দূরে আরও দুজনকে রক্তাক্ত অবস্থায় ফ্লাইওভারের উপর পরে থাকতে দেখা যায়। খিলক্ষেত থানা পুলিশের মাধ্যমে তাদের দ্রুত ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়। সেখানে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাদের মৃত ঘোষণা করেন।