টাকা চুরির অপবাদে আলাউদ্দিন সরকার আপন নামে এক শিশু শিক্ষার্থীকে গুম করার অভিযোগ উঠেছে লালমনিরহাটের সদর উপজেলার মালিটারি তালিমুল কোরআন রহমানিয়া হাফেজিয়া মাদরাসার শিক্ষকদের বিরুদ্ধে।
এদিকে নিখোঁজের ২০ দিনেও কোনো খোঁজ না পেয়ে এলাকাবাসী মানববন্ধন করেছে।
মঙ্গলবার (৪ জুন) দুপুরে জেলার মিশনমোড় চত্বরে মানববন্ধন শেষে জেলা প্রশাসক বরাবর স্বারকলিপি প্রদান করা হয়।
স্থানীয় বাসিন্দারা জানান, এর আগে চুরির অপবাদে শিশুটিকে বেধড়ক পিটিয়েছেন শিক্ষকরা। এবার হয়তো চুরির অপবাদে শিশুটিকে পিটিয়ে হত্যা করা হয়ে থাকতে পারে। তা না হলে এক মাস হয় শিশুটির খোঁজ নাই কেন। ঘটনাটি গুরুত্বের সঙ্গে তদন্তের দাবি জানাই।
জানা গেছে, মালিটারি তালিমুল কোরআন রহমানিয়া হাফিজিয়া মাদরাসা থেকে গত ১৫ মে শিশু আপন নিখোঁজ হয় বলে থানায় জিডি করেন আপনের বাবা জরিপ উল্লাহ। কিন্তু দীর্ঘ ২০ দিন পেরিয়ে গেলেও এখন পর্যন্ত আপনের কোনো খোঁজ পাওয়া যায়নি। শিশু আপন মাদরাসার হিফজ শাখা ও বাংলা চতুর্থ শ্রেণিতে পড়ত।
শিশু আলাউদ্দিন সরকার আপনের ফুফু মালেকা বেগম বলেন, আপনের মা মারা যাওয়ার পর তার বাবা জরিফ উল্লাহ আবার বিয়ে করেন। এরপর আপনের সৎ মা তাকে মেনে নিতে না পারায় তারা তাকে নির্যাতন করত। পরে আপনকে আমার কাছে রেখে গেলে তিন বছর আগে ওই মাদরাসায় ভর্তি করি। গত ১৬ মে মাদরাসার সুপার আমাকে ফোন করে জানায় আপন দুপুরে খাবারের কথা বলে যাওয়ার পর তাকে পাওয়া যাচ্ছে না। সেদিন থেকে শিশু আপনের কোনো খোঁজ নেই। মাদরাসার শিক্ষকরা আপনকে টাকা চুরির অপবাদে গুম করে রেখেছেন।
জানতে চাইলে মালিটারি তালিমুল কোরআন হাফিজিয়া মাদরাসার সুপার ওসমান গনি অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, আমরা চারদিকে খোঁজার জন্য লোক লাগিয়েছি।
লালমনিরহাট সদর থানার ওসি ওমর ফারুক বলেন, এ ব্যাপারে প্রথমে থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি করেছেন শিশুটির পরিবার। সব জায়গায় ছেলেটির ছবিসহ সংবাদ পাঠানো হয়েছে। এ ছাড়া তদন্ত করেও দেখা হচ্ছে।