২০০৭ সালে অনুষ্ঠিত হয় টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ। প্রথম আসরে বাংলাদেশের দলে ছিলেন মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ। এখনো পর্যন্ত অনুষ্ঠিত হওয়া সংক্ষিপ্ত ফরম্যাটের সবগুলো বিশ্বকাপেই খেলা দুজন ক্রিকেটার হলেন সাকিব আল হাসান এবং রোহিত শর্মা। তবে এ তালিকায় থাকতে পারতো টাইগারদের আরও এক ক্রিকেটারের নাম। তিনি মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ। কিন্তু ২০০৭ থেকে ২০২১- এ টুর্নামেন্টের প্রথম সাত আসরে থাকলেও অষ্টম আসরে দলে জায়গা হয়নি তাঁর।
২০২২ বিশ্বকাপ দলে না থাকায় তখন এ নিয়ে তাঁর খারাপ লেগেছিল বলেই জানিয়েছেন মাহমুদউল্লাহ। বিসিবি প্রকাশিত ড্য রেড-গ্রিন স্টোরিতে দেয়া সাক্ষাৎকারে এমন কথাই জানিয়েছেন সাইলেন্ট কিলার খ্যাত এই ক্রিকেটার। তিনি বলেন, ‘২০২২ টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে যখন আমি ছিলাম না, খারাপ লেগেছিল। আমার কাছে মনে হয়েছিল, দলে হয়তো থাকতে পারতাম।’
তবে দলে জায়গা না পেলেও এখন আর এ নিয়ে মনে কোনো কষ্ট নেই বলেও জানিয়েছেন তিনি। মাহমুদউল্লাহ বলেন, কিন্তু হয়নি এবং ওটার জন্য আমার কোনো কষ্টও নেই। আমি সব সময়ই আলহামদুলিল্লাহ, যেটা বলি দলের জন্য যতটুকুই আমি করতে পারি, সেটা আমার উপস্থিতি দিয়ে হোক, পারফরম্যান্স দিয়ে হোক, আমার অভিজ্ঞতা দিয়ে হোক, আমি আমার সর্বোচ্চটাই সব সময় নিংড়ে দিই।’
চলতি বিশ্বকাপে বাংলাদেশ ভালো কিছু করতে পারবে এমন আশাও ব্যক্ত করেছেন মাহমুদউল্লাহ। তিনি বলেন, ‘সুযোগ তো সব সময়ই থাকে। চেষ্টায়ও আমাদের কোনো কমতি থাকে না। ইনশা আল্লাহ, হয়তো এবার আমরা ভালো কিছু করব।’
তবে মাহমুদয়ল্লাহ জানিয়েছেন, ট্রফি হেতার জন্য ভালো খেলার পাশাপাশি ভাগ্যের সহায়তাও লাগে। তিনি বলেন, ‘ট্রফি জিততে আমার মনে হয় ভাগ্যেরও একটু সহায়তা লাগে। আমরা কয়েকটি মেগা ইভেন্টে হয়তো খুব কাছাকাছি গিয়েছিলাম। কিন্তু দুর্ভাগ্যজনকভাবে আমরা পারিনি। এখন আরেকটি সুযোগ সামনে। সমর্থন আছে ইনশা আল্লাহ। যা যা করা সম্ভব আমরা করব।’
৮ জুন শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে ম্যাচ দিয়ে বিশ্বকাপ অভিযান শুরু করবে নাজমুল শান্তর দল। অধিনায়ক হিসেবে শান্ত কেমন তা বর্ণনা করে মাহমুদউল্লাহ বলেন, ‘সে খুব ভালো নেতা। খুব ভালো অধিনায়ক। গেম-সেন্স খুব ভালো। ম্যাচের প্রতি মনোযোগও খুব ভালো। কিন্তু আমাদের তাকে সময় দিতে হবে। কিছুদিন হলো অধিনায়কের দায়িত্ব পেয়েছে। তাকে সময় দিতে হবে। আশা করি, ওর যে নেতৃত্বগুণ আছে, ইনশা আল্লাহ বাংলাদেশের জন্য ভালো করবে।’
ক্রিকেটে তাঁর পথচুওলার শুরুটা কিভাবে জানিয়ে মাহমুদউল্লাহ আরও বলেন, ‘আমার আপন ভাই, উনি ক্রিকেট খেলতেন। ওনার হাত ধরেই আমার পথচলা। আমার ছোটবেলার পথচলা শুরু। আমার ক্রিকেটের হাতেখড়ি—সবকিছুই উনার মাধ্যমে। ভাইয়াই সব সময় আমার অনুপ্রেরণা ছিল।’