ভারতের কোথাও তাপমাত্রা ৪৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস, কোথাও আবার ৫০ ডিগ্রি ছুঁইছুঁই। চলছে তীব্র তাপপ্রবাহ। গত বুধবার (২৯ মে) দিল্লিতে সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল ৫২ দশমিক ৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস (১২৬ দশমিক এক ডিগ্রি ফারেনহাইট), যা দেশটির ইতিহাসে সর্বোচ্চ। চলতি মৌসুমের এই গরম এবং তাপপ্রবাহের জেরে এখনও পর্যন্ত ৫৪ জনের মৃত্যু হয়েছে।
শুক্রবার (৩১ মে) স্থানীয় গণমাধ্যম আনন্দবাজার পত্রিকা অনলাইনের এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানানো হয়।
ভারতের আবহাওয়া অধিদফতর (আইএমডি) জানিয়েছে, উত্তরপ্রদেশ, হরিয়ানা, চণ্ডীগড় এবং দিল্লির ওপর দিয়ে ধুলোঝড় বইতে পারে। উত্তরপ্রদেশে ৩১ মে থেকে ১ জুন ধুলোঝড়ের পূর্বাভাস রয়েছে। হরিয়ানা, চণ্ডীগড় এবং দিল্লিতে ৩১ মে ধুলোঝড়ের সম্ভাবনা রয়েছে।
আইএমডি সূত্রে জানা যায়, ৩১ মে থেকে ২ জুনের মধ্যে উত্তর-পশ্চিম ভারতে বজ্রপাতসহ হালকা বৃষ্টি হতে পারে। বৃহস্পতিবার দিল্লির সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ৪৫.৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস রেকর্ড করা হয়েছে, যা স্বাভাবিকের থেকে ৫.২ ডিগ্রি বেশি। একইসঙ্গে পানির প্রবল সঙ্কটে ভুগছে রাজধানীবাসী। আগামী ৪৮ ঘণ্টায় পঞ্জাব, হরিয়ানা, চণ্ডীগড়, দিল্লি, রাজস্থান, উত্তরপ্রদেশ, বিহার, ঝাড়খণ্ড এবং ওড়িশার বিভিন্ন জায়গায় তাপপ্রবাহের পরিস্থিতি সৃষ্টি হতে পারে।
শুধু দিল্লি নয়, পূর্ব এবং উত্তর-পূর্ব ভারতের মানুষ গরমে অতিষ্ঠ। তীব্র গরমে হিট স্ট্রোকে সবচেয়ে বেশি মৃত্যু হয়েছে বিহারে। বাংলার প্রতিবেশী রাজ্যে গরমে মৃত্যু হয়েছে ৩২ জনের। ওড়িশায় ১০ জন, ঝাড়খণ্ড এবং রাজস্থানে পাঁচ জন করে মারা গেছেন। উত্তরপ্রদেশের সুলতানপুরে এক জনের মৃত্যুর খবর মিলেছে।
এর আগে, দিল্লিতে হিট স্ট্রোকে আক্রান্ত হয়ে মৃত্যু হয়েছিল বিহারের এক বাসিন্দার। চিকিৎসকেরা জানিয়েছেন, তার জ্বর হয়েছিল। শরীরের তাপমাত্রা পৌঁছেছিল ১০৭ ডিগ্রি ফারেনহাইটে, যা স্বাভাবিকের থেকে ১০ ডিগ্রি বেশি।