ঝিনাইদহের শৈলকুপায় চুরির অপবাদে এক মাদরাসাছাত্রের ওপর অমানবিক নির্যাতন করার ঘটনায় দুই শিক্ষককে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। বৃহস্পতিবার (৩০ মে) রাত ১০টার দিকে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়। এর আগে গত ২৭ মে ঘড়ি চুরির অভিযোগে তাওহীদের হাত-পা বেঁধে বেধড়ক মারপিট করেন শিক্ষক মাহমুদ হাসান ও মাহাদী হাসান।
ভুক্তভোগী শিক্ষার্থী তাওহিদ হোসেন শৈলকুপা উপজেলার রঘুনন্দনপুর গ্রামের মান্নান বিশ্বাসের ছেলে। গ্রেপ্তাররা হলেন শৈলকুপার হাটফাজিলপুর মুহাম্মাদিয়া কওমি মাদরাসার শিক্ষক মাহমুদ হাসান ও মাহাদী হাসান।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, গত ২৭ মে হাটফাজিলপুর মুহাম্মাদিয়া কওমি মাদরাসায় চুরির অপবাদ দিয়ে ওই মাদ্রাসার হেফজ বিভাগের ছাত্র তাওহীদ হোসেনকে হাত-পা বেঁধে বেধড়ক মারপিট করেন শিক্ষক মাহমুদ হাসান ও মাহাদী হাসান। এরপর তাকে মাদরাসার একটি কক্ষে আটকে রাখা হয়। পরে রাতে তাওহীদ সেখান থেকে পালিয়ে তার ফুফুর বাসায় যান। এরপর বিষয়টি জানতে পেরে তার বাবা-মা শৈলকুপা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে তাওহীদকে ভর্তি করেন। পরে থানায় লিখিত অভিযোগ দেন তাওহীদের বাবা-মা। এরপর অভিযুক্ত ওই দুই শিক্ষককে গ্রেপ্তার করে পুলিশ।
তাওহীদের বাবা মান্নান বিশ্বাস ঢাকা পোস্টকে বলেন, আমার ছেলে ৩ বছর ধরে হাটফাজিলপুর মুহাম্মাদিয়া কওমি মাদরাসায় পড়াশোনা করছে। গত সোমবার রাতে আমার ছেলেকে চুরির অপবাদ দিয়ে মারধর করা হয়েছে। তারা যে অভিযোগ এনেছে তা মিথ্যা। আমার ছেলে সত্যই যদি এমন কোনো কাজ করে থাকে তাহলে আমাদের কাছে বিষয়টি জানাতে পারতেন। আমরা এ ঘটনার বিচার চাই।
শৈলকূপা থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সফিকুল ইসলাম চৌধুরী বলেন, অভিযোগের সত্যতা পাওয়ায় দুই শিক্ষককে গ্রেপ্তার করেছি।