ফিলিস্তিনের অবরুদ্ধ গাজা উপত্যকার প্রায় সব জায়গায় ইসরায়েলের বর্বর সেনাদের বিরুদ্ধে ফিলিস্তিনের মুক্তিকামী সংগঠন হামাসের যোদ্ধাদের তুমুল লড়াই চলছে।
আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের পরামর্শ অমান্য করে মিশরের সীমান্তবর্তী প্রচণ্ড ঘনবসতিপূর্ণ রাফা শহরে হামলা চালিয়ে যাচ্ছে ইসরায়েল।
রাফায় ইসরায়েল স্থল হামলা জোরদারের পর থেকে গাজা জুড়ে সংঘর্ষ মারাত্মক আকার ধারণ করেছে। খবর ফিলিস্তিনি সংবাদ সংস্থা ওয়াফার।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছেন, শুক্রবার রাতভর জাবালিয়া শরণার্থী শিবিরের চারপাশে ভয়াবহ লড়াই হয়েছে। এ সময় ইসরায়েলি বাহিনী হেলিকপ্টার থেকে ব্যাপকভাবে হামলা চালায়। এর পাশাপাশি ইসরায়েলি গোয়েন্দা বাহিনী কামাল আদওয়ান হাসপাতালের কাছের কয়েকটি বাড়িতে গোলাবর্ষণ করে।
গাজার সিভিল ডিফেন্স এজেন্সি বলেছে, জাবালিয়ার একটি বাড়ি লক্ষ্য করে ইসরায়েলি কাহিনীর হামলার পর সেখান থেকে ছয়টি মৃতদেহ এবং কয়েকজন আহত ব্যক্তিকে উদ্ধার করা হয়েছে।
জাবালিয়া শরণার্থী শিবিরের আল-ফালুজা স্ট্রিটে অবস্থিত একটি বাড়ি ইসরায়েলি বাহিনীর হামলায় বিধ্বস্ত হয়েছে। ধ্বংসস্তূপ থেকে হতাহত লোকজনকে উদ্ধারের চেষ্টা চলছে।
এদিকে, জাবালিয়া থেকে পালিয়ে যাওয়া কয়েকটি পরিবারের সদস্য বেইত হানুন শহরে আশ্রয় নেয়ার সময় ইসরায়েলি সেনারা ট্যাংক দিয়ে শহরটির প্রবেশ পথ ঘিরে ফেলে। ফলে, তারা পালিয়ে গিয়েও নিরাপদ আশ্রয় পেতে বাধার মুখে পড়েছে।
ইসরাইলের যুদ্ধমন্ত্রী ইয়োভ গ্যালান্ট বলেছেন, মিশর সীমান্তবর্তী রাফাহ শহরে বাড়তি সেনা পাঠানো হচ্ছে এবং তারা সেখানে আগ্রাসন জোরদার করবে।
এছাড়া ইসরাইলের যুদ্ধবাজ প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু জানিয়েছেন, রাফা শহরে আগ্রাসন পরিচালনা তাদের পরিকল্পনার গুরুত্বপূর্ণ অংশ।
গত বছরের ৭ অক্টোবর থেকে গাজায় ইসরায়েলি বাহিনীর ‘গণহত্যা’ শুরুর পর থেকে এ পর্যন্ত ৩৫ হাজার ৩০৩ জন নিরপরাধ ফিলিস্তিনি প্রাণ হারিয়েছেন এবং ৭৯ হাজার ২৬১ জন আহত হয়েছেন। হতাহতদের বেশির ভাগই নারী ও শিশু।