লিওনেল মেসি ও ক্রিশ্চিয়ানো রোনালদো এখন খেলেন ভিন্ন দুই লিগে। তবুও তাদের দ্বৈরথ চলছেই। সেটা মাঠের পারফরম্যান্স হোক কিংবা আয়। পারফরম্যান্সে দুজনে কম-বেশি এগিয়ে পিছিয়ে থাকলেও আয়ে মেসিকে বেশ বড় ব্যবধানেই পেছনে ফেলেছেন রোনালদো। সম্প্রতি যুক্তরাষ্ট্রের বিখ্যাত ম্যাগাজিন ফোর্বস বিশ্বের সর্বোচ্চ ধনীদের তালিকা প্রকাশ করেছে।
যেখানে অ্যাথলেটদের মধ্যে বাৎসরিক আয়ে শীর্ষেই আছেন রোনালদো। গত বছরও শীর্ষে ছিলেন এই পর্তুগিজ তারকা। মেসি অবশ্য দুই থেকে নেমে গেছেন তিনে। ইন্টার মিয়ামির এই তারকা জায়গা নিয়েছেন গলফার জন রাম। তালিকায় সবার ওপরে আছেন রোনালদো। ইউরোপ ছাড়ার পর তার আয় আরও বেড়েছে।
ফোর্বসের ম্যাগাজিনের তথ্য অনুযায়ী গত এক বছরে ২৬০ মিলিয়ন ডলার আয় করেছেন ৩৯ বছর বয়সী রোনালদো। যা আগের বছরের দ্বিগুণের চেয়ে বেশি। পর্তুগিজ সুপারস্টারের আয় বেড়েছে ১৩৬ মিলিয়ন ডলার। রোনালদোর পেছনে থাকা জনের আয় হয়েছে ২১৮ মিলিয়ন ডলার। মেসি পেয়েছেন ১৩৫ মিলিয়ন ডলার।
তালিকায় সেরা দশের ছয়জনই ফুটবলার। এর মধ্যে সৌদি প্রো লিগের তিন ফুটবলার আছেন। রোনালদো ছাড়াও সেরা দশে আছেন তার সাবেক ক্লাব সতীর্থ করিম বেনজেমা ও নেইমার জুনিয়র। সবচেয়ে অবাক করা তথ্যটি হচ্ছে মার্কিন ফুটবলার জেমার জ্যাকসন সেরা দশে জায়গা পেয়েছেন। গত ১২ মাসে তার আয় হয়েছে ১০০.৫ মিলিয়ন ডলার।
বিশ্বের সর্বোচ্চ পারিশ্রমিক প্রাপ্ত ১০ ক্রীড়াবিদ:
১. ক্রিশ্চিয়ানো রোনালদো (ফুটবল): ২৬০ মিলিয়ন ডলার
২. জন রাম (গলফ): ২১৮ মিলিয়ন ডলার
৩. লিওনেল মেসি (ফুটবল): ১৩৫ মিলিয়ন ডলার
৪. লেব্রন জেমস (বাস্কেটবল): ১২৮.২ মিলিয়ন ডলার
৫. জিয়ান্নিস অ্যান্তেতোকুমপো (বাস্কেটবল): ১১১ মিলিয়ন ডলার
৬. কিলিয়ান এমবাপে (ফুটবল): ১১০ মিলিয়ন ডলার
৭. নেইমার জুনিয়র (ফুটবল): ১০৮ মিলিয়ন ডলার
৮. করিম বেনজেমা (ফুটবল): ১০৬ মিলিয়ন ডলার
৯. স্টিফেন কারি (বাস্কেটবল): ১০২ মিলিয়ন ডলার
১০. লেমার জ্যাকসন (ফুটবল): ১০০.৫ মিলিয়ন ডলার