গতকাল ১০ মে ছিল বরেণ্য অভিনেতা এবং নাট্যনির্দেশক তারিক আনাম খানের জন্মদিন। এদিন সহকর্মী ও শুভানুধ্যায়ীদের শুভেচ্ছায় সিক্ত হয়েছেন অভিনেতা। শুভানুধ্যায়ীদের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশের পাশাপাশি সামাজিক মাধ্যমে ‘জন্মদিনের ভাবনা’ নামে একটি পোস্ট দিয়েছেন তিনি।
আজ শনিবার নিজের ফেসুবুকে জন্মদিনের ভাবনায় তারিক আনাম লেখেন, ‘আমার জন্ম আমার তিন বোনের পর। বৈশাখ মাস । আমার মনে হয় আমার মা খুব ভাবনায় ছিলেন। এবারও কি মেয়ে? সেসময় এ ধরনের ভাবনা খুব স্বাভাবিক ছিল (এখনও আছে বোধহয়!)। ধরে নেই আমার মা খুব খুশি হয়েছিলেন ছেলে হয়েছে দেখে। মায়ের মুখের সলজ্জ মিষ্টি হাসিটা আমি দেখতে পাই। বোধহয় তখন থেকেই মানুষের হাসিমাখা মুখ আমাকে আনন্দিত করে। তাই হয়তো নাটকে অভিনয়ে আনন্দিত মানুষের মুখ আমাকে আন্দোলিত করে। তাই হয়তো কমেডির প্রতি আমার বেশী টান। তাই কি? জানি না। মন্চে কমেডি করেছি অনেক।’
এরপর ডাকসাইটে এ অভিনেতা লেখেন, ‘মধ্যবিত্ত পরিবারে জন্ম আমার। সমাজ, মানুষ , কষ্ট, দুঃখ হাসি আনন্দ জয় পরাজয় যুদ্ধ মৃত্যু সব কাছ থেকে দেখেছি। আমাদের বৃহত্তর পরিবারে রসবোধ, হাসি, ঠাট্টা নিত্যদিনের সঙ্গী। কমেডি বা হাসি মানে শুধু বিনোদন না। হাসির আড়ালে দুঃখ থাকে । চার্লি চ্যাপলিন তাই আজও বড় প্রিয়। মুগ্ধ হয়ে দেখি। কমেডির মধ্যে শ্লেষ, বিদ্রুপ বিদ্রোহ থাকে। প্রতিবাদ থাকে।’
এ সময় জন্মদিন প্রসঙ্গে তারিক আনাম লেখেন, ‘জন্মদিন মানেই আমার কাছে ছেলেবেলা। তেমন উদযাপন হতো না। বাবা খুব সকালে উঠে আমার জন্মদিনের তারিখটা সুরে সুরে আওড়াতেন। মা একটু বিশেষ কিছু করতেন। ভাইবোনেরা ক্ষ্যাপাত। ব্যাস ওইটুকু।’
তারিক আনাম আরও লেখেন, ‘এখন অনেক মানুষ আমার জন্মদিন মনে রাখেন, শুভেচ্ছা জানান। মানুষের এই ভালবাসা আমাকে আপ্লুত করে, আবেগ তাড়িত করে। আমি তো মানুষের জন্য কিছু করতে পারিনি। আজও আনন্দিত মুখ হাসিমাখা মুখ আমাকে আনন্দিত করে। যদি আমার কারণে তা হয় তাহলেই এ মানবজন্ম সার্থক।’
সবশেষে লিখেছেন, ‘যারা বিভিন্নভাবে আমাকে শুভেচ্ছা জানিয়েছেন, আমার কথা ১ মিনিটের জন্যও ভেবেছেন সকলের প্রতি কৃতজ্ঞতা। নিজের মতো করেই খুশি থাকুন, আনন্দিত জীবন হোক সবার। ভালোবাসা সকলকে।’
মঞ্চ দিয়ে যাত্রা শুরু তারিক আনাম খানের। পরে নাটক, সিনেমায় জায়গা করে নেন। অভিনয়ের পাশাপাশি নাট্য নির্দেশক হিসেবেও খ্যাতি রয়েছে তার। গুণী অভিনেতাদের সংক্ষিপ্ত তালিকা করলে সেখানেও প্রথম কাতারে থাকবে নন্দিত এই অভিনেতার নাম।