চ্যাম্পিয়ন্স লিগের সেমিফাইনালে প্রথম লেগের ম্যাচে বুরুশিয়া ডর্টমুন্ডের ঘরের মাঠে ১-০ গোলে হেরেছিল পিএসজি। তবে ধারণা করা হচ্ছিল, ফিরতি লেগে নিজেদের মাঠে এই এক গোলের ব্যবধান কাটিয়ে ওঠবে ফরাসি জায়ান্টরা, নিশ্চিত করতে ওয়েম্বলিতে হতে যাওয়া ফাইনালের টিকিট। তবে কিলিয়ান এমবাপেরা তা করতে পারেননি। উল্টো পার্ক দ্য প্রিস্নেসে আরেক গোল হজম করতে হয়েছে লুইস এনরিকের শিষ্যদের। একই সঙ্গে শেষ হয়ে গেছে চ্যাম্পিয়ন্স লিগের স্বপ্নও।
পার্ক দ্য প্রিন্সেসে পিএসজিকে হারিয়ে ১১ বছর পর আবার চ্যাম্পিয়ন্স লিগের ফাইনাল নিশ্চিত করেছে বুরুশিয়া ডর্টমুন্ড। জার্মান ক্লাবটি সবশেষ ইউরোপিয়ান শ্রেষ্ঠত্বের আসরে ফাইনালে খেলেছিল ২০১২-১৩ মৌসুমে। সেবার আরেক জার্মান ক্লাব বায়ার্ন মিউনিখের কাছেই শিরোপা খোয়াতে হয়েছিল ডর্টমুন্ডকে। অবশ্য এবার প্রতিশোধের সুযোগও আসতে পারে ডর্তমুন্ডের। কেননা আরেক সেমিফাইনালে আজ মাঠে নামছে বায়্যার্ন ও রিয়াল মাদ্রিদ। ফলে আরও একবার সুযোগ থাকছে ডর্টমুন্ড-বায়ার্ন ফাইনাল হওয়ার।
এদিকে পিএসজির ঘরের মাঠে গতকাল ম্যাচের একমাত্র গোলটি এসেছে ম্যাটস হামেলসের পা থাকে। ৫০ মিনিটে পিসজেইর জালে লক্ষ্যভেদ করে দলকে লিড এনে দেন। ফলে দুই লেগ মিলিয়ে ২-০ গোলে এগিয়ে যায় ডর্টমুন্ড। শেষ পর্যন্ত এই গোল আর শোধ করা হয়ে ওঠেনি পিএসজির।
অথচ নিজেদের ঘরের মাঠে খেলতে নেমে কাল আধিপত্য বিস্তার করেছে পিএসজি। ম্যাচের ৭০ শতাংশ সময়ই বলের নিয়ন্ত্রণ নিজেদের পায়ে রেখেছিলেন এমবাপেরা, শট নিয়েছিলেন ৩০টি যেখানে ডর্টমুন্ড শট নেয় কেবল ৭টি। এদিকে এমবাপেদের নেয়া শটের ৭টি ছিল লক্ষ্যে আর সফরকারীদের ৩টি।
ঘরের মাঠে গতকাল ডর্টমুন্ডের বিপক্ষে এই ম্যাচে খুব একটা আক্রমণাত্মক হয়ে ওঠতে পারেননি এমবাপেও। প্রতিপক্ষের রক্ষণে তেমন কোনো চাপ তৈরি করতে পারেননি তিনি। অবশ্য তাঁর নেয়া কয়েকটি শট ফিরিয়ে দিয়েছেন ডর্টমুন্ডের গোলরক্ষক। ফলে ফিরতি লেগেও ১-০ গোলের হারে আরও একবার চ্যাম্পিয়ন্স লিগ জয়ের স্বপ্ন অধরাই থেকে গেল ফরাসি ক্লাবটির জন্য।