অবিলম্বে ফিলিস্তিনে গণহত্যা বন্ধ, ফিলিস্তিনের জনগণের আবাসভূমি তাদের ফেরত এবং মার্কিন-ইসরায়েল সাম্রাজ্যবাদী আগ্রাসনের বিরুদ্ধে বিশ্ববিবেককে সোচ্চার হওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন বাম গণতান্ত্রিক জোট। বৃহস্পতিবার (১৩ মে) দুপুরে জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে সমাবেশ ও সমাবেশ পরবর্তী বিক্ষোভ মিছিল থেকে এ দাবি করা হয়। সমাবেশে সভাপতিত্ব করেন বাম গণতান্ত্রিক জোট কেন্দ্রীয় পরিচালনা পরিষদের সমন্বয়ক ও বাসদ কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য বজলুর রশীদ ফিরোজ। সমাবেশ পরিচালনা করেন বাসদ ঢাকা মহানগরের সদস্য সচিব জুলফিকার আলী।
সমাবেশে বক্তব্য রাখেন- বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির সাধারণ সম্পাদক সাইফুল হক, সিপিবির প্রেসিডিয়াম সদস্য আবদুল্লাহেল কাফি রতন, বাসদ (মার্কসবাদী) কেন্দ্রীয় নেতা মানস নন্দী, ইউনাইটেড কমিউনিস্ট লীগের নেতা নজরুল ইসলাম, গণসংহতি আন্দোলনের নেতা বাচ্চু ভূইয়া, গণতান্ত্রিক বিপ্লবী পার্টির নেতা শহীদুল ইসলাম সবুজ, বাংলাদেশের সমাজতান্ত্রিক আন্দোলনের সভাপতি হামিদুল হক।
সমাবেশে বক্তারা বলেন, দীর্ঘ প্রায় ৭৩ বছর ধরে ফিলিস্তিনিদের আবাসভূমি অবৈধভাবে দখল করে প্রতিষ্ঠিত ইসরায়েলি জায়নবাদী শক্তি স্বাধীন-সার্বভৌম ফিলিস্তিন রাষ্ট্রের ওপর আগ্রাসন চালিয়ে আসছে। এ সময়কালে দখলদার ইসরায়েলি বাহিনীর গুলি, বোমা হামলা ও নির্যাতনে হাজার-হাজার নারী-পুরুষ-শিশু মৃত্যুবরণ করেছে। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রসহ সাম্রাজ্যবাদী শক্তিগুলো এই সন্ত্রাসী তৎপরতায় প্রত্যক্ষভাবে মদদ জুগিয়ে চলছে। জাতিসংঘ পালন করেছে নীরব ভূমিকা।
‘গত শুক্রবার থেকে প্রায় ছয় দিন ধরে ইসরায়েলি বাহিনী পুনরায় এই বর্বরেচিত হামলা শুরু করেছে। মুসলমানদের অন্যতম ধর্মীয় প্রতিষ্ঠান আল আকসা মসজিদ প্রাঙ্গণে বোমা হামলা চালিয়ে প্রায় ২০ জন নাগরিককে হত্যা করা হয়েছে, হামলা করে গুড়িয়ে দেওয়া হয়েছে গাজায় ১২ তলা একটি ভবন। এরই মধ্যে নিহত হয়েছেন ১৬ শিশুসহ ৬৭ জন নিরীহ ফিলিস্তিন নাগরিক। রমজান মাসে এধরণের হামলা সারা বিশ্বের মানুষের বিবেককে নাড়া দিয়েছে। মধ্যপ্রাচ্যে স্থায়ীভাবে অশান্তি সৃষ্টি করে নিজেদের অস্ত্রের বাজার ও ব্যবসাকে রমরমা রাখতে, তেলসম্পদসহ প্রাকৃতিক ও খনিজসম্পদ লুটপাট করতেই মার্কিন সাম্রাজ্যবাদী শক্তি এতে উৎসাহ যোগাচ্ছে। আর মার্কিন সাম্রাজ্যবাদী শক্তিগুলোর চাপে জাতিসংঘ নির্লিপ্ত ভুমিকা পালন করছে। ‘অনতিবিলম্বে এই হামলা-গণহত্যা বন্ধ এবং বাংলাদেশ সরকার এই আগ্রাসনের বিরুদ্ধে দৃঢ় অবস্থান না নিলে ঈদের পরে বাম জোট মার্কিন দূতাবাস অভিমুখে বিক্ষোভের কর্মসূচি দেবেন বলেও সমাবেশ থেকে হুশিয়ারি উচ্চারণ করা হয়।