ইসরায়েলের দুই জন কর্মকর্তার বরাত দিয়ে এক্সিওস জানিয়েছে, রোববার বাইডেনকে টেলিফোন করে আইসিসিকে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করা থেকে বিরত রাখতে ওয়াশিংটনের প্রভাব খাটানোর আহ্বান জানিয়েছেন নেতানিয়াহু।
প্রসঙ্গত, গাজায় একের পর এক যুদ্ধাপরাধ ও মানবিকতাবিরোধী অপরাধের নির্দেশ দেওয়ার অভিযোগে ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহু, প্রতিরক্ষামন্ত্রী ইয়োয়াভ গ্যালান্ত এবং ইসরায়েলের প্রতিরক্ষা বাহিনী (আইডিএফ) জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে শিগগিরই আইসিসি গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করতে পারে গুঞ্জন উঠেছে, যা নিয়ে প্রচণ্ড চাপে রয়েছেন নেতানিয়াহু।
২০১৪ সালে একবার যুদ্ধে জড়িয়েছিল হামাস এবং ইসরায়েল। ২০১৭ সালে সেই যুদ্ধের তদন্ত শুরু করে আইসিসি, ২০২০ সালে করোনা মহামারির কারণে তা বাধাগ্রস্ত হয়। পরে মহামারির ধাক্কা কেটে গেলেও তদন্ত আর শুরু হয়নি।
কিন্তু গত ৭ অক্টোবর ইসরায়েলি ভূখণ্ডে হামাসের হামলা ও তার জেরে গাজায় অভিযান শুরুর পর সেই তদন্ত ফের পুনরুজ্জীবিত করে আইসিসি। এর মধ্যে গত ডিসেম্বরে গাজা-ইসরায়েল সীমান্ত ঘুরে গেছেন আইসিসির শীর্ষ প্রসিকিউটর করিম খান। সেই সফরে পুরনো সেই তদন্ত ফের শুরু করা হবে বলে জানিয়েছিলেন তিনি।
সাংবাদিকদের আইসিসির শীর্ষ প্রসিকিউটর বলেছিলেন, ‘এবারের তদন্ত হবে গতিশীল, কঠোর এবং পুরোপুরি সাক্ষ্যপ্রমাণ নির্ভর।’
গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারির প্রসঙ্গে আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালতের এক মুখপাত্র মার্কিন সংবাদমাধ্যম এনবিসিকে বলেছেন, ‘আমরা ফিলিস্তিন রাষ্ট্রের পরিস্থিতি নিয়ে একটি মুক্ত ও অবাধ তদন্ত পরিচালনা করছি। এই কাজের সুবিধার্থে যে কোনো পদক্ষেপ আমাদের নিতে হতে পারে; কিন্তু যেহেতু তদন্তাধীন বিষয়, তাই এ প্রসঙ্গে এখনই বিস্তারিত কিছু বলার সুযোগ নেই।’
ইসরায়েল কিংবা যুক্তরাষ্ট্র— দুই দেশের কোনোটিই আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালতের সিদ্ধান্তকে স্বীকৃতি দেয় না। আইসিসি যদি সত্যিই গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করে, তাহলে ইসরায়েল বা যুক্তরাষ্ট্রে নেতানিয়াহু কিংবা ইয়োয়াভ গ্যালান্তের গ্রেপ্তার হওয়ার কোনো আশঙ্কা নেই।
তবে ইউরোপের দেশগুলোর জোট ইউরোপীয় ইউনিয়ন আইসিসিকে স্বীকৃতি দেয়। তাই পরোয়ানা জারি হলে ইউরোপের দেশগুলোসহ বিশ্বের অনেক দেশেই সফর বন্ধ করতে হবে নেতানিয়াহু, গ্যালান্ত ও আইডিএফের সামরিক কর্মকর্তাদের। কারণ পরোয়ানা বাতিল হওয়ার আগ পর্যন্ত সেসব দেশে গেলে গ্রেপ্তার হওয়ার সমূহ আশঙ্কা রয়েছে তাদের।