দেশটিতে অবস্থানরত ১০ লাখেরও বেশি বিদেশি শিক্ষার্থীরা মূলত নিম্ন বেতনের খণ্ডকালীন চাকুরি করতে পারেন। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে এমন ছবি দেখা গেছে যেখানে ক্যাশিয়ারের মতো পদে একজন কর্মী নিয়োগের ক্ষেত্রেও ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের বাইরে চাকুরিপ্রার্থীদের বিশাল লাইন।
তিনি বলেন, ‘আন্তর্জাতিক শিক্ষার্থীরা ইতোমধ্যে ফিস বাবদ অনেক অর্থ খরচ করে। সঙ্গে বাড়ি ভাড়া ও জীবনযাপনের খরচ বেড়ে যাওয়ায় আর্থিক চাপ অনেক বেড়েছে।’
সাম্প্রতিক মাসগুলোতে কানাডায় বেকারত্বের হার বেড়ে মার্চে ৬.১% হয়েছে, যা তরুণদের ক্ষেত্রে প্রায় দ্বিগুণ। ফেডারেল সরকারের পরিসংখ্যান সংস্থা এই তথ্য জানিয়েছে। এই ধারার পেছনে কারণ হিসেবে জনসংখ্যা বৃদ্ধির ঊর্ধ্বগতিকে মূলত দায়ী করা হয়েছে, যার পুরোটাই ঘটছে অভিবাসন ও মৌসুমি কর্মী ও বিদেশি শিক্ষার্থীদের মতো সাময়িক বাসিন্দাদের আগমনের ফলে।
বিদেশি শিক্ষার্থীরা কানাডার নাগরিকদের তুলনায় কোর্স ফি বাবদ অনেক বেশি অর্থ দেয়, যার ফলে দেশের বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর জন্য তারা আয়ের গুরুত্বপূর্ণ উৎস।
তবে রাজনৈতিক চাপ বাড়তে থাকায় সরকার জানুয়ারিতে বিদেশি শিক্ষার্থী ভর্তি ক্ষেত্রে নতুন কোটা চালু করেছে এবং গত মাসে সাময়িক বাসিন্দার সংখ্যা নিয়ন্ত্রণে একটি পরিকল্পনার কথা ঘোষণা করেছে।
যেসব বিদেশি শিক্ষার্থী পড়ালেখার পাশাপাশি উপার্জন করতে চান, তাদের সমস্যাগুলো বিদ্যমান নীতিমালার কারণে আরও ঘনীভূত হয়েছে। এসব নীতিমালা অনুযায়ী তারা কোন ধরনের চাকুরি করতে পারবেন এবং কত ঘণ্টা কাজ করতে পারবেন, তার ওপর সীমাবদ্ধতা আরোপ করা হয়েছে।
টরন্টো ভিত্তিক অভিবাসন বিশেষজ্ঞ আল পারসাই বলেন, ‘মূল বিষয়টি হল, তারা পূর্ণকালীন কাজ করতে পারেন না। তাদের কানাডীয় ডিগ্রি বা কাজের অভিজ্ঞতা নেই। যার ফলে, তারা ন্যুনতম ঘণ্টাভিত্তিক বেতনের চাকুরি করতে বাধ্য হয়।’
স্টুডেন্ট ভিসার সংখ্যা কমানোর সিদ্ধান্ত বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর জন্য মাথা ব্যথার কারণ হতে পারে। উদাহরণ হিসেবে কানাডার সবচেয়ে সম্মানজনক বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর অন্যতম, ইউবিসির কথা বলা যায়, যেখানে ২০২২ সালে ভর্তি হওয়া শিক্ষার্থীদের মধ্যে ২৭ শতাংশই ছিল বিদেশি শিক্ষার্থী।