তবে যে সকল শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে শীতাতাপ নিয়ন্ত্রণ ব্যবস্থা আছে সেই সকল শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান কর্তৃপক্ষ চাইলে খোলা রাখতে পারবে। সোমবার পরবর্তী সিদ্ধান্ত জানানো হবে।
এর আগে, রোববার দেশের সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুলে দেওয়া হয়। এদিন মাধ্যমিক বিদ্যালয়, কলেজ, মাদরাসা ও কারিগরি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে যথারীতি ক্লাস চলেছে। সময়সূচিতে কিছুটা পরিবর্তন এনে খুলে দেওয়া হয়েছিল প্রাথমিক বিদ্যালয়ও।
এদিকে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুলে দেওয়ার বিষয়ে শিক্ষামন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরীকে প্রশ্ন করা হলে তিনি বলেন, কিছু হলেই স্কুল বন্ধ করে দেওয়ার এত আলোচনা কেন আসে? বাংলাদেশে কি অন্য কোনো প্রতিষ্ঠান নেই? এখন সবকিছু খোলা থাকবে আর শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকবে, এই প্রত্যাশাটি যথাযথ নয়।
স্কুল খোলার বিষয়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে অভিভাবকরা আলোচনা-সমালোচনা করছেন জানিয়ে তিনি আরও বলেন, এই আলোচনা-সমালোচনার ভিত্তিতে রাষ্ট্র পরিচালিত হয় না। আমাদের শিক্ষার্থীদের শিখন ফল অর্জন করার বিষয়টি খুবই গুরুত্বপূর্ণ। নতুন কারিকুলামের কাজ চলছে। তাই জনপ্রিয়তার নিরিখে আমারা সিদ্ধান্ত নিতে পারি না, বাস্তবতার নিরিখে আমাদের সিদ্ধান্ত নিতে হবে। আর ঢাকা শহরের তাপমাত্রাই বাংলাদেশের তাপমাত্রা নয়। কয়েকটি জেলায় তাপমাত্রা যদি অসহনীয় পর্যায়ে যায় তাহলে বিদ্যালয় সেখানে নিজস্ব পদ্ধতিতে সিদ্ধান্ত নিতে পারে। কিন্তু আমরা এমনও দেখছি, বিভাগীয় শহরে কিছু শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত স্কুলও বন্ধ করে দিয়েছে অভিভাবকদের চাপে। এটা তো গ্রহণযোগ্য নয়। আমরা এই ধরনের মানসিকতা পরিহার করি।
অন্যদিকে, ২৪ ঘণ্টার ব্যবধানে প্রায় দুই ডিগ্রি সেলসিয়াস বেড়েছে রাজধানীর তাপমাত্রা। তবে একই সময়ে দেশের গড় তাপমাত্রা কিছুটা কমেছে। আবহাওয়া অধিদফতর বলছে— সোমবারও তাপমাত্রা এই রকমই থাকতে পারে।
আবহাওয়াবিদ এ কে এম নাজমুল হক বলেছেন, এখন যে পরিস্থিতি, তাতে চলতি মাসে তাপমাত্রা খুব বেশি তারতম্য হওয়ার সম্ভাবনা কম। অন্তত আগামীকাল তাপমাত্রা একই রকম থাকতে পারে।
আবহাওয়া অফিস সূত্র জানাচ্ছে— এ মাসে দেশজুড়ে বৃষ্টি হওয়ার সম্ভাবনা কম। বৃষ্টির জন্য আগামী মাসের প্রথম সপ্তাহ পর্যন্ত অপেক্ষা করতে হতে পারে।
উল্লেখ্য, ঈদুল ফিতরের ছুটি শেষে গত ২১ এপ্রিল শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খোলার কথা ছিল। প্রচণ্ড তাপদাহের কারণে ছুটি বাড়ানো হয়। এতে আরও এক সপ্তাহ বন্ধ থাকে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান। গত ২৫ এপ্রিল শিক্ষা মন্ত্রণালয় থেকে জারি করা প্রজ্ঞাপনে রোববার (২৮ এপ্রিল) থেকে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে যথারীতি ক্লাস শুরুর কথা বলা হয়। পাশাপাশি দীর্ঘদিন বন্ধ থাকায় যে শিখন ঘাটতি হয়েছে, তা পূরণে এখন থেকে শনিবারও মাধ্যমিক স্কুল, কলেজ ও মাদরাসা খোলা থাকবে।