আসছে জুন-জুলাইয়ে অনুষ্ঠিত হতে চলেছে আইসিসি টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ। আসন্ন এই টুর্নামেন্ট সামনে রেখে দল সাজাতে ব্যস্ত অংশ নিতে যাওয়া দলগুলো। ভারতও এর ব্যতিক্রম নয়। বিশ্বকাপ স্কোয়াড সাজাতে চলমান আইপিএলে পারফর্ম্যান্সের উপরও গুরুত্ব দিবেন বিসিসিআই নির্বাচকরা।
বিশ্বকাপের জন্য ভারতের দল কেমন হতে চলেছে তা নিয়ে আগ্রহ রয়েছে বিশ্বের নানা প্রান্তের ক্রিকেটপ্রেমী থেকে শুরু করে বিশেষজ্ঞদেরও। বিরাট কোহলি দলে থাকছেন কি না, থাকলে তিনি ব্যাটিং করবেন কত নম্বরে, কোহলি যদি রোহিত শর্মার সঙ্গে ওপেনিংয়ে খেলেন তাহলে যশ্বসী জয়সোয়াল, শুবমান গিলরা দলে জায়গা পাবেন কি না এ নিয়ে নানা প্রশ্ন জাগছে সমর্থকদের মাঝে।
এছাড়াও হার্দিক পান্ডিয়া দলে থাকবেন কি না, নাকি পান্ডিয়ার বদলে শিবম দুবে কিংবা অভিষেক শর্মাদের দলে নিবে ভারত। একই সঙ্গে উইকেটরক্ষক ব্যাটার হিসেবে শেষ পর্যন্ত কে ধরবেন বিশ্বকাপের বিমান, লোকেশ রাহুল, ইষাণ কিষাণ নাকি অন্য কেউ তা নিয়েও আছে আগ্রহ।
চলমান আইপিএলে বেশ কয়েকজন তরুণ ভারতীয় ক্রিকেটার তাদের সামর্থ্যের জানান দিচ্ছেন, একই সঙ্গে সিনিয়র ক্রিকেটাররাও তাদের অভিজ্ঞতা প্রমাণ করছেন। মূলত পাইপলাইনে অসংখ্য ক্রিকেটার থাকার কারণেই দল সাজাতে গিয়ে মধুর সমস্যায় পড়েছে অজিত আগারকারের নেতৃত্বাধীন ভারতের নির্বাচক কমিটি।
ভারতের পাইপলাইনে যে অনেক অভিজ্ঞ এবং প্রতিভাবান ক্রিকেটার আছেন এ বিষয়টি অনুধাবন করতে পেরেছেন জ্যামাইকান স্প্রিন্টার ইয়োহান ব্লেইকও। অলিম্পিক পদক এবং ২০১১ সালে বিশ্ব অ্যাথলেটিক্স চ্যাম্পিয়নশিপে স্বর্ণজয়ী এই অ্যাথলিট ক্রিকেটের দারুণ ভক্ত। চলমান আইপিএলেও তিনি নজর রাখছেন। ভারতীয় ক্রিকেটারদের খেলা দেখে তাঁর কাছে মনে হয়েছে, আসন্ন বিশ্বকাপে তিনটি দল পাঠানোর সক্ষমতা আছে ভারতের।
সামাজিক মাধ্যম এক্সে নিজের অ্যাকাউন্টে দেয়া এক পোস্টে ব্লেইক লিখেন, ‘বর্তমানে ভারতের বিশ্বকাপ দল নির্বাচন করাটা বেশ চ্যালেঞ্জিং একটা কাজ। কারণ তাদের অনেক প্রতিভাবান ক্রিকেটার আছে। তাদের এতই প্রতিভাবান ক্রিকেটার আছে যে মনে হয় ভারত সম্ভবত বিশ্বকাপে তিনটি দল পাঠাতে পারবে।’
নিজের আরেক পোস্টে দীনেশ কার্তিককে দলে নেয়ার কথাও জানিয়েছেন তিনি। তাঁর মতে আসন্ন বিশ্বকাপের জন্য অবশ্যই কার্তিককে দলে নেয়া উচিত।