সনদ বিক্রি চক্রের বিভিন্ন সদস্য গ্রেফতারের পর বিভিন্ন চাঞ্চল্যকর তথ্য বেরিয়ে আসতে শুরু করেছে। ইতিমধ্যে কারিগরি শিক্ষাবোর্ডের চেয়ারম্যানের আলী আকবর খানের স্ত্রী গ্রেফতার হয়েছেন। এ ঘটনায় এবার বোর্ড চেয়ারম্যানকে (সদ্য ওএসডি) জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ডিবিতে ডাকা হয়েছে।
ডিবি অফিস থেকে বের হয়ে সাংবাদিকদের কাছে নিজের দায় স্বীকার করেছেন সাবেক বোর্ড চেয়ারম্যান। তিনি বলেছেন, বোর্ডের চেয়ারম্যান হিসেবে সার্টিফিকেট বাণিজ্যের দায় অবশ্যই আমি এড়াতে পারি না।
মঙ্গলবার (২৩ এপ্রিল) দুপুরে তিনি মিন্টো রোডের ডিবি কার্যালয়ে আসেন। এ সময় তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। পরে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হন তিনি। সেখানে সনদ বাণিজ্যের ঘটনায় তার দায় আছে কিনা এমন প্রশ্নের জবাবে অকপটে নিজের দায় স্বীকার করেন আকবর আলী খান।
এ সময় তার স্ত্রীকে কেন গ্রেফতার করা হলো জানতে চাইলে তিনি বলেন, আমার স্ত্রীর বিষয়ে আমি কিছুই জানি না। গোয়েন্দা সংস্থা কী তথ্য পেয়েছে, তাও কিছুই জানি না। তবে আমি মনে করি, বিনা অপরাধেই জেল খাটছেন।
ওএসডির বিষয়ে তিনি বলেন, মিডিয়ায় একটি সংবাদ চলে আসছে এবং ডিবির কাছে তথ্য আছে, সেজন্য দায়িত্ব থেকে অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে।
আলী আকবর খান বলেন, একটি ঘটনা ঘটেছে। এ বিষয়ে সুষ্ঠু তদন্ত হওয়া উচিত। প্রকৃত ঘটনা উদঘাটন করে তাদের শাস্তির ব্যবস্থা করা উচিত। এক্ষেত্রে আমরা লজ্জিত ও দুঃখিত!
এর আগে গ্রেফতার সিস্টেম অ্যানালিস্ট শামসুজ্জামান দাবি করেন, বোর্ড চেয়ারম্যান হিসেবে আকবর আলী খানকে ২০ লাখ টাকার ঘুষ দেওয়া হয়েছে। এ বিষয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, এটা মিথ্যা, বানোয়াট ও ভিত্তিহীন। এটির তদন্ত চলছে।
উল্লেখ্য, চলতি মাসের ১ এপ্রিল মিরপুরের পীরেরবাগে অভিযান চালিয়ে সিস্টেম অ্যানালিস্ট শামসুজ্জামানসহ তার সহযোগী ফয়সালকে গ্রেফতার করে পুলিশ। এরপর আরও কয়েকজনকে গ্রেফতার করা হয়। সর্বশেষ কারিগরি বোর্ডের (সদ্য ওএসডি) চেয়ারম্যান আকবর আলী খানের স্ত্রী সেহেলা পারভীন গ্রেফতার করা হয়। স্ত্রীকে গ্রেফতারের পরদিন আকবর আলী খানকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য তলব করে ডিবি।
এর আগের দিন সোমবার ডিবি প্রধান জানিয়েছিলেন, এ ঘটনায় কারিগরি শিক্ষাবোর্ডের সাবেক চেয়ারম্যানের সংশ্লিষ্টতা থাকলে তাকেও জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে। প্রয়োজনে গ্রেফতারও করা হতে পারে।