নির্মাণাধীন ‘শহীদ এ এইচ এম কামারুজ্জামান হল’ নির্মাণ কাজে অনিয়মের অভিযোগে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে অভিযান চালিয়েছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।
রাজশাহী জেলা সমন্বিত দুদকের একটি প্রতিনিধি দল এই অভিযান চালায়। দুদকের হটলাইনে অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে এ অভিযান চালানো হয়েছে বলে জানিয়েছেন এক কর্মকর্তা।
রোববার (২১ এপ্রিল) দুপুর সাড়ে ১২টায় দুদকের এই প্রতিনিধি দল বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসন ভবনে প্রবেশ করে এই অভিযান শুরু করে।
এ সময় তারা বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার দফতরে একটি মিটিংয়ে বসেন।বিশ্ববিদ্যালয়ের পক্ষ থেকে সেখানে উপস্থিত ছিলেন রেজিস্ট্রার (ভারপ্রাপ্ত) অধ্যাপক তারিকুল হাসান, পরিকল্পনা ও উন্নয়ন দফতরের ভারপ্রাপ্ত পরিচালক ইঞ্জিনিয়ার খন্দকার শাহরিয়ার রহমান, প্রধান প্রকৌশলী (ভারপ্রাপ্ত) আবুল কালাম আজাদ।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক বিশ্ববিদ্যালয় এক কর্মকর্তা বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের কামরুজ্জামান হল নির্মাণে অনিয়মের বিষয়টি খতিয়ে দেখতে বিভিন্ন দফতর থেকে বেশ কিছু কাগজপত্র নিয়েছে দুদক। তারা এখনো প্রশাসন ভবনে অবস্থান করছে।
বিশ্ববিদ্যালয়ের ভৌত অবকাঠামো উন্নয়ন শীর্ষক প্রকল্পের আওতায় ৭০ কোটি ২০ লাখ টাকা ব্যয়ে এই হল নির্মাণ করা হচ্ছে। ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান মজিদ সন্স কনস্ট্রাকশন এই হলের নির্মাণকাজ করছে।
রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্র প্রকল্পের বালিশকাণ্ডে বেশ আলোচিত ছিল তিনটি ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান। তাদেরই একটি ‘মজিদ সন্স কনস্ট্রাকশন লিমিটেড’। বালিশকাণ্ডের পর রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের নির্মাণাধীন ভবনের ছাদ ধসে পড়া ঘটনায় আবারও আলোচনায় আসে ঠিকাদার প্রতিষ্ঠানটি।
গত ৩০ জানুয়ারি রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের নির্মাণাধীন শহীদ এ এইচ এম কামারুজ্জামান হলের এক অংশের ছাদ ধসে পড়ে। এতে ৯ জন নির্মাণ শ্রমিক আহত হয়ে হাসপাতালে চিকিৎসা নেন। সেই রাতেই জরুরি সভা ডেকে ওই ঘটনার কারণ নির্ধারণে তিন সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। সেসময় তদন্ত করে ভবন নির্মাণের ক্ষেত্রে অনিয়ম পাওয়া গেলে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন থেকে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হুঁশিয়ারি দেওয়া হয়।