সোমবার রাতে কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান শিরিনা খাতুন। এ ঘটনার পর থেকে স্বামী পলাতক রয়েছেন।
শিরিনা খাতুন কুষ্টিয়া সদর উপজেলার জিয়ারকি ইউনিয়ন ৯নং ওয়ার্ডের শিবপুর গ্রামের ওসমান আলীর মেয়ে। তার স্বামী মিন্টু উপজেলার ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় (ইবি) থানার লক্ষ্মীপুর গ্রামের বাসিন্দা। এক বছর আগে পারিবারিকভাবে বিয়ে হয় তাদের।
নিহতের বাবা ওসমান অভিযোগ করে বলেন, বিয়ের পর থেকেই আমার মেয়ের ওপর শারীরিকভাবে নির্যাতন চালাতেন মিন্টু। সে আমার মেয়েকে হত্যা করে মুখে বিষ ঢেলে দিয়েছে। এরপর মেয়ের লাশ হাসপাতালে রেখে পালিয়েছে। আজ সকালে মেয়ের মৃত্যুর খবর শুনে হাসপাতালের মর্গে এসে দেখি, আমার মেয়ে আর নেই। মর্গে তার লাশ পড়ে আছে। আমি এ হত্যার বিচার চাই। আমার মেয়েকে যারা হত্যা করেছে তাদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানাচ্ছি।
নিহতের স্বজনরা বলেন, বিয়ের পর থেকেই শিরিনাকে মারধর করতেন স্বামী। আজ সকালে শিরিনার মৃত্যুর খবর শুনে তার শ্বশুরবাড়িতে যাই আমরা। সেখানে কাউকে পাওয়া যায়নি। তারা পলাতক রয়েছেন। শিরিনার শরীরের বিভিন্ন স্থানে আঘাতের চিহ্ন রয়েছে। তাকে মারপিট ও শ্বাসরোধ করে হত্যা করেছে স্বামী মিন্টু ও তার পরিবারের লোকজন।
এ বিষয়ে কথা বলার জন্য অভিযুক্ত মিন্টুর সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করলেও তাকে পাওয়া যায়নি।
ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মামুন রহমান বলেন, এখনো কোনো অভিযোগ পাইনি। বিষয়টি তদন্ত করে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।