আইআরজিসি আরও জানিয়েছে, ড্রোনের পর ক্ষেপণাস্ত্র দিয়ে ইসরায়েলের নির্দিষ্ট লক্ষ্যবস্তুতে হামলা চালানো হবে। ধারণা করা হচ্ছে, ইসরায়েলে ক্রুজ ক্ষেপণাস্ত্র ছোড়া হবে। যেগুলো ইরান থেকে ইসরায়েলে আসতে দুই ঘণ্টার মতো সময় লাগবে।
এর আগে রোববার রাতে ইসরায়েলকে লক্ষ্য করে কয়েক ডজন ড্রোন ছোড়ে ইরান৷ যেগুলো ইসরায়েলে পৌঁছাতে কয়েক ঘণ্টা সময় লাগবে।
ইসরায়েলি এক কর্মকর্তা সংবাদমাধ্যম টাইমস অব ইসরায়েলকে জানিয়েছেন, ইরান হামলায় ‘শহীদ-১৩৬’ মডেলের ড্রোন ছুড়েছে। যেগুলো ২০ কেজির ওয়ারহেড বা বিস্ফোরক বহন করতে পারে।
ইরান ড্রোন হামলা চালানোর আগে নিজেদের আকাশসীমা বন্ধ করে দেয় জর্ডান। একই সিদ্ধান্ত নেয় ইরাকও।
সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে প্রকাশিত একটি ভিডিওতে দেখা গেছে, ইরাকের আকাশসীমা দিয়ে উড়ে যাচ্ছে একটি ড্রোন।
সংবাদমাধ্যম টাইমস অব ইসরায়েল জানিয়েছে, জর্ডান জানিয়েছে তাদের আকাশসীমা লঙ্ঘন করে যদি ইরানের কোনো ড্রোন আসে তাহলে সেগুলো ভূপাতিত করার চেষ্টা করা হবে। এজন্য তাদের সেনাবাহিনী প্রস্তুত আছে। এছাড়া যুক্তরাষ্ট্রও জানিয়েছে, ইসরায়েলে প্রবেশের আগেই সম্ভব হলে ড্রোনগুলো ভূপাতিত করার চেষ্ট করবে তারা।
ইরানের ড্রোন হামলার কারণে ইসরায়েলে বিমান চলাচল বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। এছাড়া ইসরায়েলের দিকে আসা বিমানগুলো ঘুরিয়ে দেওয়া হচ্ছে।
গত ১ এপ্রিল সিরিয়ার রাজধানী দামেস্কে অবস্থিত ইরানি কনস্যুলেটে ভয়াবহ ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালায় ইসরায়েল। এতে বিপ্লবী গার্ডের দুই কমান্ডারসহ ৭ উচ্চপদস্থ কর্মকর্তা নিহত হন। এরপরই হামলার জবাব দিতে সরাসরি ইসরায়েলে হামলার প্রস্তুতি শুরু করে ইরান।
গত শুক্রবার যুক্তরাষ্ট্রের কয়েকজন সামরিক কর্মকর্তা সংবাদমাধ্যম সিবিএসকে জানান, ইসরায়েলে হামলা চালাতে ইরান ১০০ ড্রোন এবং কয়েক ডজন ক্ষেপণাস্ত্র ব্যবহার করতে পারে।