ইরান থেকে ইসরায়েলকে লক্ষ্য করে কয়েক ডজন ড্রোন ছোড়ার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন ইসরায়েলি প্রতিরক্ষা বাহিনীর (আইডিএফ) মুখপাত্র ড্যানিয়েল হ্যাগারি। তিনি এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলেছেন, ‘ইসরায়েলকে লক্ষ্য করে ড্রোন ছুড়েছে ইরান। এগুলো ইসরায়েলের দিকে ছুটে আসছে। বিমান বাহিনী ড্রোনগুলোর ওপর নজর রাখছে। যেগুলো আসতে কয়েক ঘণ্টা সময় লাগবে।’
তিনি আরও জানিয়েছেন, ড্রোন হামলা থেকে অবকাঠামোকে বাঁচাতে জিপিএস সেবায় বিঘ্ন ঘটানো হবে এবং ড্রোনগুলো ভূপাতিত করতে সেনাবাহিনী কাজ শুরু করে দিয়েছে।
দখলদার ইসরায়েলের সেনাবাহিনীর মুখপাত্র আরও জানিয়েছেন, যদি নতুন করে আরও হামলা চালানো হয় তাহলে নতুন সতর্কতার প্রয়োজন হবে এবং এটি সাধারণ মানুষকে জানানো হবে।
ইরান থেকে ড্রোনগুলো ইসরায়েলের দিকে আসলেও এখন পর্যন্ত সেখানে সতর্কতামূলক সাইরেন বেজে উঠেনি। জানা গেছে, যদি ড্রোনগুলো ইসরায়েলের ভেতর প্রবেশ করতে সক্ষম হয় তখন সতর্কতামূলক সাইরেন বাজানো হবে।
ইসরায়েলি সংবাদমাধ্যম চ্যানেল-১২ জানিয়েছে, যুক্তরাষ্ট্র প্রথমে ড্রোন ছোড়ার বিষয়টি শনাক্ত করে। এরপর তাৎক্ষণিকভাবে তারা এ ব্যাপারে ইসরায়েলকে অবহিত করে।
গত ১ এপ্রিল সিরিয়ার রাজধানী দামেস্কে অবস্থিত ইরানি কনস্যুলেটে ভয়াবহ ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালায় ইসরায়েল। এতে বিপ্লবী গার্ডের দুই কমান্ডারসহ ৭ উচ্চপদস্থ কর্মকর্তা নিহত হন। এরপরই হামলার জবাব দিতে সরাসরি ইসরায়েলে হামলার প্রস্তুতি শুরু করে ইরান।
গত শুক্রবার যুক্তরাষ্ট্রের কয়েকজন সামরিক কর্মকর্তা সংবাদমাধ্যম সিবিএসকে জানান, ইসরায়েলে হামলা চালাতে ইরান ১০০ ড্রোন এবং কয়েক ডজন ক্ষেপণাস্ত্র ব্যবহার করতে পারে।
তবে প্রথম হামলায় ইসরায়েলে কতগুলো ড্রোন ছোড়া হয়েছে সে তথ্য স্পষ্ট করে জানায়নি এক্সিওস।
তবে হামলা শুরুর কয়েক ঘণ্টা আগে জর্ডান তাদের আকাশসীমা পুরোপুরি বন্ধ করে দেয়। এছাড়া সংযুক্ত আরব আমিরাত থেকে ইসরায়েলগামী দুটি বিমান এবং থাইল্যান্ড থেকে ইসরায়েলের দিকে আসা আরও দুটি বিমান ঘুরিয়ে দেওয়া হয়।