তাইওয়ানে ভূমিকম্পের পর সুনামির সতর্কতা কমিয়েছে জাপান। জাপান আবহাওয়া সংস্থা (জেএমএ) পূর্ব তাইওয়ানে একটি শক্তিশালী ভূমিকম্পের পর বুধবার জাপানের দক্ষিণ দ্বীপপুঞ্জের জন্য সুনামির সতর্কতাকে ‘সুনামি পরামর্শ’ স্তরে নামিয়ে এনেছে।
জেএমএ বলেছে, ভূমিকম্পের পর এই অঞ্চলে এক মিটার (৩.৩ ফুট) পর্যন্ত উচ্চতর ঢেউ তৈরি হতে পারে। এটি পূর্বে আনুমানিক সর্বোচ্চ তিন মিটার উচ্চতার সুনামির বিষয়ে সতর্ক করেছিল। খবর বিবিসি ও এএফপির
জেএমএ এর এক কর্মকর্তা বলেছেন, ‘অনুগ্রহ করে উপদেশ প্রত্যাহার না হওয়া পর্যন্ত কাছাকাছি বা সমুদ্রে যাওয়া এড়িয়ে চলুন।’
তাইওয়ানের পূর্ব উপকূলীয় এলাকায় বুধবার ৭.৪ মাত্রার ভূমিকম্প অনুভূত হয়েছে। এই ভূমিকম্পে এখন পর্যন্ত একজন নিহত ও ৫০ জন আহত হওয়ার কথা জানিয়েছে দেশটির ফায়ার ডিপার্টমেন্ট। ভূমিকম্পের পর জাপানসহ প্রতিবেশী দেশগুলোতে সুনামি সতর্কতা জারি করা হয়।
যুক্তরাষ্ট্রের জিওলজিক্যাল সার্ভের খবর অনুযায়ী ভূমিকম্পের উৎপত্তিস্থল ছিল তাইওয়ানের হুয়ালিয়েন শহরের আঠার কিলোমিটার দূরে। বুধবার সকালের ওই ভূমিকম্পে শহরটির বেশ কিছু ভবন আংশিক ধ্বসে গেছে এবং ঝুঁকে পড়তে দেখা গেছে।
কর্মকর্তারা বলছেন এটি গত ২৫ বছরের মধ্যে তাইওয়ানের সবচেয়ে শক্তিশালী ভূমিকম্প। স্থানীয় সময় বুধবার সকাল ৭ টা ৫৮ মিনিটে ভূমিকম্প আঘাত হানে এবং এর উৎপত্তিস্থল ছিল ভূপৃষ্ঠের ১৫ দশমিক ৫ কিলোমিটার গভীরে।
ভূমিকম্পের পর চার বা এর চেয়ে বেশি মাত্রার অন্তত নয়টি আফটারশকের শঙ্কার কথা জানিয়েছে আবহাওয়া বিভাগ।
ভূমিকম্পের পরপরই ফিলিপিন্সের সিসমলজি এজেন্সিও একই ধরনের সুনামি সতর্কতা জারি করে। তারা অধিবাসীদের উঁচু খোলা জায়গায় অবস্থান নেয়ার পরামর্শ দেয়। যদিও প্যাসিফিক সুনামি ওয়ার্নিং সেন্টার ভূমিকম্পের দুই ঘণ্টা পর বলেছে ‘সুনামি হুমকি কেটে গেছে’।
চীনের রাষ্ট্রায়ত্ত গণমাধ্যম বলেছে, দেশটির দক্ষিণ পূর্বাঞ্চলীয় ফুজিয়ান প্রদেশের কিছু অংশেও ভূমিকম্প অনুভূত হয়েছে।
এর আগে এই অঞ্চলে ১৯৯৯ সালের সেপ্টেম্বরে সাত দশমিক ছয় মাত্রার ভূমিকম্প দেশটিতে আঘাত করেছিলো। তখন দুই হাজার চারশো মানুষের মৃত্যু হয়েছিল। ধ্বংস হয়েছিলো পাঁচ হাজারের মতো ভবন।