ইউরোপে ভিসামুক্ত ভ্রমণের অনুমতি দিয়ে শেনজেন অঞ্চল দুটি নতুন দেশকে স্বাগত জানিয়েছে। তবে এটা শুধু আকাশ ও সমুদ্র পথেই সীমাবদ্ধ। সড়কপথে এটি কার্যকর হবে না।
আংশিকভাবে হলেও রোমানিয়া এবং বুলগেরিয়া ইউরোপীয় ইউনিয়নে যোগদানের এক দশকেরও বেশি পরে রোববার ভিসামুক্ত শেনজেনে যুক্ত হরো। দেশ দুটো থেকে ভ্রমণকারীরা সমুদ্র বা আকাশপথে ভ্রমণের সময় ভিসা এবং পাসপোর্ট নিয়ন্ত্রণের মাধ্যমে যাওয়ার বদলে এমনিতেই শেনজেনভুক্ত বাকি অংশগুলোতে যেতে সক্ষম। একইভাবে শেনজেনভুক্ত অন্যান্য দেশ থেকেও রোমানিয়া ও বুলগেরিয়াতে যাওয়া যাবে। খবর এএফপির
তার কথায়, ‘শেনজেন এলাকার জন্য এটা ঐতিহাসিক মুহূর্ত। সারা বিশ্বের মধ্যে অবাধ চলাচলের ক্ষেত্রে এটা বৃহত্তম একটি এলাকা। সকল নাগরিকের কথা ভেবে আরো শক্তিশালী, আরো ঐক্যবদ্ধ ইউরোপ তৈরি করছি।’
শেনজেন এলাকায় ২৫টি অন্যান্য ইইউ সদস্য রাষ্ট্রের সঙ্গে ইইউভুক্ত নয় এমন দেশ সুইজারল্যান্ড, নরওয়ে, আইসল্যান্ড এবং লিস্টেনস্টাইনও রয়েছে।
রোমানিয়া বলেছে, তারা ভুয়া যাতায়াতের নথি জব্দ করতে এবংমানবপাচারের বিরুদ্ধে লড়াই করার জন্য যখন তখন নজরদারি চালাবে।
দুই দেশ আশা করছে, বছরের শেষ নাগাদ তারা শেনজেন এলাকার পূর্ণ সদস্য হবে। তারাই একমাত্র ইইউ সদস্য রাষ্ট্র যারা শেনজেনের সবরকম সুবিধা পায় না। এমনকি রোমানিয়া এবং বুলগেরিয়ার পরে ব্লকে যোগ দেওয়া ক্রোয়েশিয়াও গত বছরের জানুয়ারিতে শেনজেন এলাকায় সম্পূর্ণভাবে গৃহীত হয়েছে।
রোমানিয়ার অভ্যন্তরীণ মন্ত্রী কাতালিন প্রিদোইউ রোববার বলেছেন, ‘একাধিক কূটনৈতিক আলাপের মাধ্যমে স্থল সীমান্তের সঙ্গে [শেনজেনে] যোগদানের বিষয়টি নিয়ে নিশ্চিত করার জন্য আমরা চেষ্টা চালিয়ে যাবো।’
রোমানিয়ার প্রধান সড়ক পরিবহন ইউনিয়ন ইউএনটিআরআর বলেছে, হাঙ্গেরির সীমান্তে গড় অপেক্ষার সময়সীমা ১৬ ঘণ্টা। এর ফলে পণ্যবাহী ট্রাকচালকেরা সমস্যায় পড়েন একাধিকবার।
সেক্রেটারি জেনারেল রাদু দিনেস্কু বলেছেন, ‘সীমান্তে দীর্ঘ অপেক্ষার কারণে প্রতি বছর রোমানিয়ানদের কোটি কোটি ইউরো ক্ষতি হচ্ছে।’
বুলগেরিয়ান ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠানগুলো তাদের হতাশা প্রকাশ করেছে। বুলগেরিয়ান ইন্ডাস্ট্রিয়াল ক্যাপিটাল অ্যাসোসিয়েশনের (বিআইসিএ) ভ্যাসিল ভেলেভ বলেন, ‘বুলগেরিয়ান পণ্যের মাত্র তিন শতাংশ আকাশ এবং সমুদ্রপথে পরিবহন করা হয়, বাকি ৯৭ শতাংশ স্থলপথে পরিবহন করা হয়।’