ডোনাল্ড ট্রাম্প প্রেসিডেন্ট থাকাকালীন পাকিস্তানের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের যোগাযোগ ছিল। কিন্তু গত পাঁচ বছরে বাইডেন কখনও পাক প্রধানমন্ত্রীকে ফোন করেননি। ২০২২ সালে ইমরানকে সরিয়ে শাহবাজ শরিফ প্রথমবার প্রধানমন্ত্রী হন। কিন্তু সেই সময়ও বাইডেন তাকে ফোন করেননি। তাই এতদিন পরে তার এই চিঠিকে তাৎপর্যপূর্ণ বলে মনে করছে বিশেষজ্ঞরা। খবর ডনের
বাইডেনের লেখা চিঠিতে পাকিস্তানের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের সম্পর্ককে বিশ্ব ও স্থানীয়, উভয় ক্ষেত্রেই নিরাপত্তার জন্য গুরুত্বপূর্ণ বলে বর্ণনা করা হয়েছে। জানিয়ে দেওয়া হয়েছে, যুক্তরাষ্ট্রের পাকিস্তানের পাশেই আছে।
পাকিস্তানের প্রশাসনে ‘নাক গলায়’ যুক্তরাষ্ট্র, এই অভিযোগ আগে তুলেছিলেন ইমরান। এই মামলা সাইফার মামলা হিসেবে কুখ্যাত। কী এই সাইফার মামলা? প্রধানমন্ত্রীর পদ থেকে তাকে সরিয়ে দেওয়ার পিছনে যুক্তরাষ্ট্রের ষড়যন্ত্র রয়েছে, এই অভিযোগ ছিল ইমরানের। আর সেই অভিযোগের প্রমাণ দিতে গিয়ে তিনি একটি নথি প্রকাশ্যে আনেন। জনসভায় তা প্রদর্শনও করেন।
গোপন নথি প্রকাশে ইমরানের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করা হয়েছিল। যদিও ইমরানের দাবি, তিনি যা দেখিয়েছিলেন তা সাইফার অর্থাৎ গোপন খবরের সাংকেতিক রূপ নয়। সেই সাইফার বিতর্কের আবহেই এবার পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী চিঠি লেখেন বাইডেন।
দ্বিতীয়বার পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী হিসেবে সম্প্রতি দায়িত্ব নিয়েছেন শাহবাজ শরিফ। নির্বাচনের আগেও পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী ছিলেন নওয়াজ শরিফের ভাই। সন্ত্রাস আবহে পাকিস্তানের নির্বাচনে নিরঙ্কুশ সংখ্যাগরিষ্ঠতা পায়নি কোনও দল। পিটিআই সমর্থিত নির্দলরা পেয়েছিলেন ১০১টি আসন, অন্যান্য সমস্ত দলের চেয়ে বেশি। দ্বিতীয় ও তৃতীয় স্থান পেয়েছিল যথাক্রমে নওয়াজ শরিফের পিএমএল(এন) ও বিলাওয়াল ভুট্টোর পিপিপি।