৩ থেকে ১৫ জুন কাতারে অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা বিশ্বকাপ বাছাইয়ের এশিয়া অঞ্চলের ‘ডি’ গ্রুপের বাকি ম্যাচগুলো। বিশ্বকাপ বাছাইয়ের বাংলাদেশ গ্রুপের ম্যাচ নিয়েই তৈরি হয়েছে অনিশ্চয়তা। কাতার, ওমান, ভারত, আফগানিস্তান ও বাংলাদেশ খেলছে এই গ্রুপে। করোনার কারণে ‘ডি’ গ্রুপের বাকি ৭ ম্যাচ সেন্ট্রাল ভেন্যুতে আয়োজনের সিদ্ধান্ত নিয়েছিল এএফসি। কিন্তু ভারতে করোনাভাইরাস পরিস্থিতি চরম অবনতি হওয়ায় দেশটির ফুটবল ফেডারেশন এএফসিকে চিঠি দিয়ে ম্যাচ স্থগিত রাখতে অনুরোধ করেছে।
এএফসি ভারতের অনুরোধে তাৎক্ষণিকভাবে সাড়া না দিলেও খেলা স্থগিত হওয়ার সম্ভাবনা উড়িয়ে দিচ্ছে না অনেকে। কারণ, ভারতের ক্লাবের কারণেই কয়েকদিন আগে এএফসি কাপ স্থগিত করতে বাধ্য হয়েছে এশিয়ান ফুটবল কনফেডারেশন। সেখানে বিশ্বকাপ বাছাইয়ের ম্যাচ স্থগিত করার যে আবেদন করেছে ভারত, তাকে হালকাভাবে নেয়ারও সুযোগ নেই।
ম্যাচ হবেই-এখন পর্যন্ত এএফসি এ সিদ্ধান্তে অটল থাকলেও ভোল পাল্টাতে যে সময় নেবে না, তার উদাহরণ কয়েকদিন আগে হঠাৎ করে এএফসি কাপ থেকে আবাহনীকে বাদ দেয়া ও পরে টুর্নামেন্ট স্থগিত করার ঘটনা। ভারতের চিঠির পর এএফসি অবশ্য মতামত নিতে গ্রুপ মিটিংয়ের আয়োজন করেছে। আগামী ১৯ মে দুপুর আড়াইটায় বাংলাদেশ, ভারত, আফগানিস্তান, ওমান ও কাতারের সঙ্গে ভার্চুয়াল সভা করবে এফসি। ওই সভায়ই পরিষ্কার হবে জুনে বিশ্বকাপ বাছাইয়ের ম্যাচ হবে কি হবে না।
এসব অনিশ্চয়তা এবং বসুন্ধরা কিংস খেলোয়াড় না ছাড়ার সিদ্ধান্তে অনড় থাকা মিলিয়ে বাফুফেও হঠাৎ করে জাতীয় দলের ক্যাম্প স্থগিত করে দিয়েছে বুধবার। বাফুফে অফিসিয়ালি ঈদের ছুটির কথা উল্লেখ করলেও আসলে ক্যাম্প স্থগিত হওয়ার কারণ বসুন্ধরা কিংস খেলোয়াড় না ছাড়া। বাফুফে বলছে, ১৬ মে ক্যাম্পে যোগ দেবেন ফুটবলাররা। এই ৪-৫ দিনে এএফসির অনেক নাটকও করতে পারে। দল বিমানবন্দরে পৌঁছানোর পরও এএফসি বলতে পারে ‘ঘরে ফিরে যাও খেলা হবে না।’ এমন নজির তো কয়েকদিন আগেই রেখেছে তারা।
খেলোয়াড়দের ছুটি দিয়ে এখন বাফুফে এই কদিন পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করতে পারবে। আবার বসুন্ধরা কিংসকেও চাপ দিতে হচ্ছে না যে ‘খেলোয়াড় ছাড়ো’। শ্যাম-কূল দুটো রাখার কৌশলেই বাফুফের ন্যাশনাল টিমস কমিটি ঈদের ছুটির কথা বলে ক্যাম্প বন্ধ করে দিয়েছে।