বুধবার (২৭ মার্চ) দুপুরে রাজধানীর কাকরাইল ইঞ্জিনিয়ারিং ইনস্টিটিউট বাংলাদেশ-এ এক আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
বিএনপি মহাসচিব বলেন, ‘স্বাধীনতার যুদ্ধে যারা প্রাণ দিয়েছিল, যারা যুদ্ধে অংশগ্রহণ করেছিল প্রত্যেকের লক্ষ্য ছিল একটা, সেটি হলো গণতন্ত্র। এ সরকার ১৫ বছরে গণতন্ত্র নিয়ে কোনো কাজ করেনি, বরং ক্ষমতায় টিকে থাকতে নির্বাচন ক্ষমতাকেন্দ্রিক ব্যবহার করেছে। এমনকি যারা গণতন্ত্রের কথা বলেন, তাদের জেলে পুড়েছে।’
ফখরুল বলেন, ‘দেশটা দুটা ভাগে ভাগ করেছে সরকার। একটি হলো আওয়ামী লীগ, আর একটি বিরোধী দল। শুধু তাই নয়, বর্ণবাদ সৃষ্টি করেছে আওয়ামী লীগ। বিরোধী দলীয় নেতা কর্মীদের বাড়ি ঘর, দোকান ও ব্যবসা দখল করে নিচ্ছে।’
মির্জা ফখরুল বলেন, ‘বহুদলীয় গণতন্ত্রের প্রতিষ্ঠা করেছিলেন আমাদের নেতা জিয়াউর রহমান। এমনকি দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়ার হাত ধরে তত্ত্বাবধায়ক সরকারব্যবস্থা এসেছিল। গণতন্ত্রের জন্য যা কিছু হয়েছে আমাদের নেতা আর নেত্রীর হাত ধরে।’
বিএনপি মহাসচিব বলেন, ‘বিচারব্যবস্থাকে আজ তছনছ করে দিয়েছে এরা, বিচারের বাণী আজ নিভৃতে কাঁদে। একটা জায়গাতে ন্যায়বিচার নেই।’
তরুণদের আরও শক্ত করে জেগে উঠতে হবে জানিয়ে ফখরুল বলেন, ‘আমাদের একমাত্র কাজ মানুষকে জাগিয়ে তোলা। সংগঠিত করা। এর মধ্য দিয়ে ১৫ বছর ধরে যে ফ্যাসিস্ট সরকারের বিরুদ্ধে আন্দোলন চালিয়ে যাচ্ছি তার পতন নিশ্চিত করা।’
সংগ্রাম ও আন্দোলনের কোনো বিকল্প নেই বলে নেতাকর্মীদের জানান মির্জা ফখরুল।
আলোচনা সভায় আরও বক্তব্য দেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড আব্দুল মঈন খান, ভাইস চেয়ারম্যান হাফিজ উদ্দিন আহমেদ, আব্দুল আউয়াল মিন্টু, আব্দুল্লাহ আল নোমান, চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা মনিরুল হক চৌধুরী, সাংগঠনিক সম্পাদক আব্দুস সালাম, মুক্তিযোদ্ধা দলের সভাপতি ইশতিয়াক আজিজ উলফাত, সাধারণ সম্পাদক সাদেক খান, ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদক নাছির উদ্দিন নাছির প্রমুখ।