নেত্রকোনার মোহনগঞ্জে স্কুল থেকে ফেরার পথে অষ্টম শ্রেণির এক ছাত্রীকে তুলে নিয়ে ধর্ষণের চেষ্টা চালিয়েছে তিন বখাটে। পরে তার চিৎকারে আশপাশের লোকজন এগিয়ে এলে বখাটেরা পালিয়ে যায়।
এ ঘটনায় ভুক্তভোগী ছাত্রী বাদী হয়ে তিন অভিযুক্তের বিরুদ্ধে থানায় মামলা করেছে।
মঙ্গলবার (২৭ মার্চ) মোহনগঞ্জ থানার ওসি মো. দেলোয়ার হোসেন এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
এর আগে সোমবার দুপুরে উপজেলার গাগলাজুর এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
মামলার আসামিরা হলেন- উপজেলার মান্দারবাড়ি গ্রামের সোহেল মিয়ার ছেলে নিরব আহম্মেদ (২০), হাবিবুর মিয়ার ছেলে তাকসিন মিয়া (১৯) ও রুবেল মিয়ার ছেলে শ্রাবণ আহম্মেদ (১৯)।
আর ভুক্তভোগীর বাড়ি পাশ্ববর্তী গাগলাজুর গ্রামে। সে স্থানীয় একটি বিদ্যালয়ের অষ্টম শ্রেণির শিক্ষার্থী।
মামলার অভিযোগ, পুলিশ ও স্থানীয় জানা গেছে, সোমবার দুপুরে ওই ছাত্রী স্থানীয় স্কুল থেকে বাড়ি ফিরছিল। তখন ওই তিন যুবক তার পিছু নেয়। সুযোগ বুঝে এক পর্যায়ে ওই ছাত্রীকে জোর করে তুলে নিয়ে যায় পাশের নির্জন জায়গায়। সেখানে গিয়ে ওই তিনজন তাকে ধর্ষণ চেষ্টা চালায়। জোরজবরদস্তির সময় ছাত্রীর কাপর-চোপর ছিঁড়ে ফেলে, মারধর করে শরীরের বিভিন্ন অংশ জখম করে। পরে চিৎকার চেঁচামেচিতে আশপাশের লোকজন এগিয়ে ওই তিন বখাটে পালিয়ে যায়। এ ঘটনায় রাতে ভুক্তভোগী ছাত্রী বাদী হয়ে থানায় মামলা দায়ের করেন।
এ বিষয়ে ভুক্তভোগী ছাত্রীর চাচা বলেন, মেয়েটাকে মারধর করে পিটিয়ে নাক-মুখসহ শরীরে ক্ষত করেছে। চিৎকারে আশপাশের লোকজন এগিয়ে আসায় রক্ষা হয়েছে, না হয় তার সর্বনাশ হতো। এসব বখাটের জন্য মেয়েদের স্কুলে যাওয়া আসা অনিরাপদ হয়ে পড়েছে। এ ঘটনার দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবি করেন তিনি।
মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা মোহনগঞ্জ থানার আওতাধীন আদর্শনগর পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রের এসআই মো. সোহেল রানা বলেন, ঘটনার পরেই এলাকা ছেড়ে গা ঢাকা দিয়েছে আসামিরা। রাতে আসামিদের গ্রেফতারে অভিযান চালানো হয়েছে। অভিযান অব্যাহত রয়েছে।