পোশাক খাত থেকে ২০৩০ সাল নাগাদ ১০০ বিলিয়ন মার্কিন ডলার রপ্তানির লক্ষ্য নির্ধারণ করে প্রচেষ্টা চালিয়ে যাওয়া হচ্ছে। তাই এই খাত মূল্য সংযোজন, হাই-এন্ড পোশাক আইটেমের দিকে ঝুঁকছে।
সোমবার (২৫ মার্চ) বাংলাদেশ পোশাক প্রস্তুতকারক ও রপ্তানিকারক সমিতির (বিজিএমইএ) সভাপতি ফারুক হাসান এ কথা বলেন।
বাংলাদেশের পোশাক রপ্তানিকারকরা সাপ্লাই চেইনে এগিয়ে যাওয়ার জন্য ক্রমবর্ধমানভাবে পণ্য বৈচিত্র্যকরণের দিকে মনোনিবেশ করছে। তারা বিশেষভাবে জ্যাকেট, অন্তর্বাস, খেলাধুলার পোশাক, স্যুট, ইউনিফর্ম, প্রযুক্তিগত পোশাকের মতো জটিল এবং উচ্চমানের নন-কটন পোশাকের ওপর জোর দিচ্ছে।
পোশাক খাতের প্রতিনিধিত্বকারী শীর্ষ বাণিজ্য সংগঠন, বাংলাদেশ পোশাক প্রস্তুতকারক ও রপ্তানিকারক সমিতি (বিজিএমইএ) হাই-এন্ড পণ্যের দিকে এই রূপান্তরকে ত্বরান্বিত করার জন্য শিল্পে নেতৃত্ব প্রদানসহ বিভিন্ন উদ্যোগ গ্রহণ করেছে।
বিজিএমইএর সভাপতি, উচ্চ মানসম্পন্ন পোশাক পণ্যের উৎপাদন সরেজমিনে দেখার জন্য আদমজী ইপিজেডের বেশ কয়েকটি পোশাক কারখানা পরিদর্শন করেছেন।
তিনি বৈশ্বিক বাজারে এই ধরনের পোশাকের সম্ভাবনা সম্পর্কে ধারণা পেতে ইউনিভার্সাল মেনসওয়্যার লিমিটেড, সুয়াদ গার্মেন্টস ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেড, ইউনুসকো, ইউএইচএম লিমিটেড এবং রেমি হোল্ডিংস লিমিটেড পরিদর্শনকালে কারখানাগুলোর ব্যবস্থাপনা এবং কর্মকর্তাদের সঙ্গে কথা বলেন।
ফারুক হাসান হাই-এন্ড পোশাক উৎপাদন এবং রপ্তানিতে বাংলাদেশের সক্ষমতা বাড়ানোর সম্ভাব্য উপায়গুলো নিয়ে আলোচনা করেন।
ফারুক হাসান বৈচিত্র্যের দৃষ্টিকোণ থেকে নন-কটন ফাইবার-ভিত্তিক পণ্যের সুযোগগুলো কাজে লাগানোর ওপর জোর দেন।
তিনি বলেন, নন-কটন এবং হাই-এন্ড সেগমেন্টের দিকে যাওয়ার মাধ্যমে বাংলাদেশ শুধু যে বৈশ্বিক বাজারের সুযোগগুলোকে কাজে লাগাতে পারে, তা নয়, বরং বৈশ্বিক ফ্যাশন শিল্পে একটি গুরুত্বপূর্ণ খেলোয়াড় হিসেবে নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করতে পারে।
ফারুক হাসান উল্লেখ করেন, এটা খুবই আনন্দের বিষয় যে বর্তমানে অনেক পোশাক কারখানা উচ্চ মানসম্পন্ন এবং মূল্য সংযোজিত পণ্য তৈরির দিকে এগিয়ে যাচ্ছে এবং উদ্ভাবন ও প্রযুক্তিগত আপগ্রেডেশনে বিনিয়োগ করছে।
তিনি আরও পোশাক কারখানাকে বৈশ্বিক বাজারে সুযোগগুলোকে পুঁজি করে বৈচিত্র্যময় হাই-এন্ড পণ্য তৈরিতে এগিয়ে আসার জন্য আহ্বান জানান।