ফিলিস্তিনের বিপক্ষে বাংলাদেশ এর আগে ৬টি ম্যাচ খেলেছিল। সর্বশেষ পাঁচ ম্যাচেই হেরেছে, করতে পারেনি কোনো গোল। আজও একই ঘটনার পুনরাবৃত্তি ঘটল। তবে পরাজয়ের ব্যবধানটা এবার আরও বেড়েছে।
প্রথম ৪০ মিনিট বাংলাদেশ লড়াই করেছিল। প্রথমার্ধের শেষ ৫ মিনিটে দুই গোল হজম করে ম্যাচ থেকে ছিটকে যায় বাংলাদেশ। দ্বিতীয়ার্ধের শুরু থেকে ছন্নছাড়া। ৪৯ মিনিটে তৃতীয় গোল করে বাংলাদেশকে ম্যাচ থেকে ছিটকে দেয় ফিলিস্তিন। কর্নারে শিহাব কুম্বল রিসিভ করে জায়গা তৈরি করে ডান পায়ের জোরালো শটে দলকে তৃতীয় গোল এনে দেন। তিন মিনিট পর কর্নারে ওলে দাবাঘ দারুণ এক শটে জাল কাঁপান।
৭২ মিনিটে বাংলাদেশের স্পেনিশ কোচ সুমন রেজা, চন্দন রায় ও রবিউল হাসানকে মাঠে নামান। এতে বাংলাদেশের খেলায় পরিবর্তন হয়নি। উল্টো ওদে দাবাঘ তার তৃতীয় গোল করে হ্যাটট্রিক পূরণ করেন। শেষের দিকে জায়েদ আহমেদ ও শাকিল হোসেন নেমে সময় পার করেন খেলার।
র্যাংকিংয়ে ৮৬ ধাপ এগিয়ে থাকা ফিলিস্তিনের বিপক্ষে বাংলাদেশের শুরুটা ভালোই ছিল। বেশ কয়েকটি আক্রমণ প্রতিহত করেছে। এমনকি ম্যাচে লিড নেওয়ার সুযোগ পেয়েছিল বাংলাদেশ। সেই সুযোগ হাতছাড়া করার পর ডিফেন্সের দুই ভুলে বাংলাদেশ ম্যাচ থেকে দুরে সরে যায়।
৪৩ মিনিটে ওদে দাবাঘ গোল করে বাংলাদেশকে পিছিয়ে দেন। মুসাব বাত্তাহর শট গোলরক্ষক মিতুল মারমা প্রথম প্রচেষ্টায় আংশিক সেভ করেন। ফিরতি বলে দাবাঘ গোল করতে ভুল করেননি। তবে তার পেছনে ডিফেন্ডার সাদ উদ্দিন অফ সাইড আবেদন করে দাঁড়িয়ে থাকেন। যোগ করা সময়ে বাংলাদেশ আবারও পিছিয়ে পড়ে। কর্নার থেকে সোহেল রানার পায়ে লেগে বল সামনে পড়লে তা থেকে শিহাব কামবার সহজেই ব্যবধান দ্বিগুণ করেন।