তিনি বলেন, দেশের মানুষ খেতে পায় না, আওয়ামী লীগ নেতারা লুট করে বিদেশে সম্পদের পাহাড় গড়ছে।
এবি পার্টির কেন্দ্রীয় সহকারী সদস্য সচিব শাহ আব্দুর রহমানের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠিত গণইফতারে সভাপতিত্ব করেন পার্টির যুগ্ম আহ্বায়ক বিএম নাজমুল হক। বক্তব্য রাখেন পার্টির সদস্য সচিব মজিবুর রহমান মঞ্জু, নাগরিক ঐক্যের সাধারণ সম্পাদক শহীদুল্লাহ্ কায়সার, সাংগঠনিক সম্পাদক কবির হাসানসহ এবি পার্টির কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দ।
মান্না বলেন, প্রধানমন্ত্রী ইফতার পার্টি বন্ধ করেছেন, তার বাহিনী বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্ররা ইফতার পার্টি করলে সেখানে হামলা চালাচ্ছে। দেশে প্রায় ১০ কোটি হতদরিদ্র মানুষ রয়েছে, তাদের মাসিক ভাতার ব্যবস্থা করতে হবে। লক্ষ কোটি টাকা বিদেশে পাচার হচ্ছে অথচ গরীবের ইফতার সরকারের সহ্য হচ্ছে না। আমরা রোজায় আল্লাহর নিকট প্রার্থনা করি এই জালিমের পতন হোক।
‘দশ হাজার কোটি টাকা পাচারের তদন্ত হয় না, অপরাধীদের বিচার হয় না। রোজার পরে এই স্বৈরাচার, ফ্যাসিস্ট সরকারের পতন আন্দোলন জোরদার করতে হবে,’ যোগ করেন তিনি।
মজিবুর রহমান মঞ্জু বলেন, সারাদেশে ভিক্ষুকের সংখ্যা বেড়েছে অথচ সরকার দেশে নাকি ভিক্ষুক নাই। এর মাধ্যমে মূলত তারা গরীব মানুষের অধিকারকে অস্বীকার করছে। এখন আমরা দেখছি অভাবের জ্বালায় রাস্তায় দাঁড়িয়ে মানুষ সন্তান বিক্রির কথা বলছে যা আমরা দেখেছি ৭৪ সালে, যখন মানুষ কুকুর বিড়ালের সাথে ডাস্টবিনে খাবার নিয়ে কাড়াকাড়ি করেছে। আওয়ামী লীগ যখনই ক্ষমতায় আসে তখনই দুর্ভিক্ষ হয়, চুরি ছিনতাই শুরু হয়। মন্ত্রীরা বলে মানুষ নাকি সুখে শান্তিতে আছে, অথচ সম্মান না পেয়ে, সম্ভ্রম হারিয়ে মানুষ আত্মহত্যা করছে।
শহীদুল্লাহ্ কায়সার বলেন, আমরা একটি ফ্যাসীবাদী সরকারের অধীনে আছি। আমাদের কথা বলার অধিকার নাই, মানুষ বাজারে যেতে পারছেনা দ্রব্যমূল্যের কারণে। রমজানে মানুষ ঠিকমতো সেহরি করতে পারছে না, ইফতার করতে পারছে না। তিনি আগামী রোজার আগেই এই স্বৈরাচার পতনের আন্দোলন সফল করার আহ্বান জানান।
সভাপতির বক্তব্যে বিএম নাজমুল হক বলেন, ঢাকা শহরে লাখ লাখ মানুষ গৃহহীন, খাদ্যহীন যার দায়িত্ব সরকারের। অথচ আওয়ামী লীগ সরকার জনগণের দায়িত্ব নিয়ে নির্বিকার। তারা জনগণের ভোটের অধিকার হরণ করে, দেশের সম্পদ লুট করে বিলাবহুল জীবন যাপন করছে। এমপিদের বউরা বেগম পাড়ায় থাকে। এই সরকারের পতন না হওয়া পর্যন্ত জনগণ তার অধিকার ফিরে পাবে না।
গণ ইফতারে আরও উপস্থিত ছিলেন— এবি পার্টির যুগ্ম সদস্যসচিব ব্যারিস্টার আসাদুজ্জামান ফুয়াদ, আব্দুল্লাহ আল মামুন রানা, প্রচার সম্পাদক আনোয়ার সাদাত টুটুল, যুবপার্টির আহ্বায়ক এবিএম খালিদ হাসান, মহানগর দক্ষিণের যুগ্ম আহ্বায়ক আনোয়ার ফারুক, আব্দুল হালিম খোকন, গাজী নাসির, উত্তরের যুগ্ম আহ্বায়ক ফিরোজ কবির, দক্ষিণের যুগ্ম সদস্য সচিব কেফায়েত হোসেন তানভীর, কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য মশিউর রহমান মিলু, শরণ চৌধুরী, পল্টন থানা আহবায়ক আব্দুল কাদের মুন্সি, ছাত্রনেতা মোহাম্মদ প্রিন্স, হাসিবুর রহমান খান, যাত্রাবাড়ী থানা সমন্বয়ক সিএম এইচ আরিফসহ কেন্দ্রীয় ও মহানগরীর বিভিন্ন পর্যায়ের নেতৃবৃন্দ।