পরের দুই ম্যাচ ২৪ ও ২৭ তারিখ। এই সিরিজটি আইসিসি উইমেনস চ্যাম্পিয়নশিপের অন্তর্ভুক্ত। তাই অজিদের হারিয়ে ইতিহাস গড়ে সিরিজ জয়ের লক্ষ্য টাইগ্রেসদের। গণমাধ্যমের মুখোমুখি হয়ে এমনটি জানিয়েছেন নারী দলের নির্বাচক সাজ্জাদ আহমেদ শিপন। তিনি বলেন, ‘আমাদের একটা ফিফটি-ফিফটি সিচুয়েশন আছে। আমাদের হোম অ্যাডভান্টেজ আছে। তাই জেতার একটা সুযোগ রয়েছে। আমাদের হোম কন্ডিশনে খেলা, তো এখানে ওরা কী রকম খেলে এটা দেখার বিষয়।’
দুই দলের অর্জন ও শক্তিমত্তার অনেক ব্যবধান থাকলেও গেল এক বছরের মধ্যে ভারত, পাকিস্তান ও দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে জয় এই সিরিজে সাহস যোগাবে নিগারদের। ম্যাচের আগেরদিন সংবাদ সম্মেলনে সেটাই তুলে ধরেছেন নিগার সুলতানা জ্যোতি।
জ্যোতি বলেন, ‘যেহেতু তারা কখনও এখানে খেলেনি, তাই কন্ডিশনের দিক থেকে তারা আমাদের চেয়ে অনেক পিছিয়ে থাকবে। তবে তাদের অনেকগুলো খেলোয়াড় কিন্তু আইপিএল (উইমেন্স প্রিমিয়ার লিগ) খেলে আসছে, ভারত ও বাংলাদেশের কন্ডিশন প্রায় একই। তাই তারা জানে যে কীভাবে খেলতে হবে৷ আমাদের কথা বললে, দক্ষিণ আফ্রিকা সিরিজে মনে হয়েছে ব্যাটিংটা ভালো হয়েছে, আবার ভারত, পাকিস্তান সিরিজে মনে হয়েছে বোলিংটা ভালো হচ্ছে। আমার মনে হয় দলের জন্য এটা ভালো যে দুই বিভাগই ভালো করছে। তিন বিভাগেই সেরাটা দিয়ে খেলার চেষ্টা করব আমরা।’
নিগার মনে করেন তাদের জন্য সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ থাকবে আমাদের কন্ডিসন। জ্যোতি বলেন, ‘তারা ভালো দল, তারা বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন, তাই এটা আমাদের পুরো দলের জন্যই একটা ভালো অভিজ্ঞতা। আমরাও কিন্তু গত ৬-৭ মাসে যেভাবে খেলছি, তাতে তারাও যে আমাদের হালকাভাবে নেয়নি, সেটা তাদের স্কোয়াড দেখেই বোঝা যায়। বিশ্বকাপটাও এখানেই (বাংলাদেশে) হবে। আমরা যেসব দলের বিপক্ষে খেলেছি, ভারত, পাকিস্তান, দক্ষিণ আফ্রিকা, তাদের মধ্যে তারাই সবচেয়ে বড় দল।’
দুই দেশের প্রথম দ্বিপাক্ষিক সিরিজ হওয়ায় অস্ট্রেলিয়ার অধিকাংশ ক্রিকেটারই এই প্রথম খেলবেন বাংলাদেশের বিপক্ষে। সব মিলিয়ে রোমাঞ্চকর সিরিজের আশা করছেন অজি অধিনায়ক হিলি। ‘আমি মনে করি কিছু খেলোয়াড়ের (উইমেন্স প্রিমিয়ার লিগ খেলে আসা) আমাদের জন্য বাড়তি সুবিধা৷ কন্ডিশন কেমন হবে, সেটা কাল বোঝা যাবে। আমি যেটা বুঝি তা হল, বাংলাদেশে খেলতে আসতে পেরে মেয়েরা খুব রোমাঞ্চিত। অধিকাংশের জন্যই এটা এখানে প্রথম সফর। বিশ্বকাপের বছরে বাংলাদেশের মাটিতে তাদের বিপক্ষে খেলাটা আমাদের জন্য দারুণ একটা সুযোগ।’