মঙ্গলবার (১৯ মার্চ) দুপুর ১টা থেকে সেবা কার্যক্রম বন্ধ থাকায় হাসপাতালের ৯টি ইউনিটের চিকিৎসাসেবা পুরোপুরি বন্ধ হয়ে গেছে। এতে দুর্ভোগে পড়েছেন হাসপাতালে চিকিৎসাধীন প্রায় দুই হাজার রোগী।
সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, ইন্টার্ন চিকিৎসক এসোশিয়েসন এবং বঙ্গবন্ধু ইন্টার্ন চিকিৎসক এসোশিয়েশননের পৃথক দুটি কমিটি মঙ্গলবার অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। দুটি কমিটিতে পদবঞ্চিত এবং কাংক্ষিত পদ না পাওয়া চিকিৎসকরা মঙ্গলবার বেলা ১টা থেকে চিকিৎসা সেবা বন্ধ করে দেন। ফলে হাসপাতালের ৯টি ইউনিটের চিকিৎসাসেবা পুরোপুরি বন্ধ হয়ে গেছে। নবগঠিত কমিটির সমর্থকরা দায়িত্ব পালন করায় মেডিসিন ওয়ার্ডের ৩টি ইউনিট সচল রয়েছে।
তবে আন্দোলনের নেতৃত্বদানকারী ইন্টার্ন চিকিৎসক অ্যাসোসিয়েশনের সদ্য ঘোষিত কমিটির সহ-সভাপতি সাদমান বাকির সাবাব বলেন, ঘোষিত ৩১ সদস্য বিশিষ্ট কমিটির পদধারী ১৮ জন ওই কমিটির বিপরীতে অবস্থান করছেন। তাই কমিটির গ্রহণযোগ্যতা থাকার প্রশ্নই আসে না। কমিটির সভাপতি বিএনপি-জামায়াত পরিবারের সঙ্গে সম্পৃক্ত। এই কমিটি বাতিল করে নতুন কমিটি ঘোষণা দেওয়া পর্যন্ত ইন্টার্ণ চিকিৎসকরা সেবায় ফিরবেন না।
ইন্টার্ন চিকিৎসক অ্যাসোসিয়েশসের সদ্য ঘোষিত কমিটির সভাপতি ডা. ইমরান হোসেন দাবি করেন, তাদের কমিটি সর্বস্তরে গ্রহণযোগ্যতা পেয়েছে। যারা আন্দোলন করছেন তারা সভাপতি-সম্পাদক পদ চাচ্ছেন। যোগ্যতার বিচারে এই কমিটি হয়েছে। সাধারণ চিকিৎসকরা এই কমিটির নেতৃত্ব মেনে কাজ করছেন। ধর্মঘটে সাধারণ চিকিৎসকরা সাড়া দেননি। সুতরাং চিকিৎসা ব্যবস্থার ব্যাহত হচ্ছে না।
একই সংগঠনের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক এহসান শাহরিয়া বলেন, সিটি মেয়রকে ভুল বুঝিয়ে সুপারিশ আনা হয়েছে। এতে মদদ দিয়েছেন হাসপাতাল পরিচালক ডা. সাইফুল ইসলাম। আমরা এই পকেট কমিটি মানি না। মেয়রের সঙ্গে সাক্ষাত করে দাবি আদায় হলে ধর্মঘট প্রত্যাহার করবো।
হাসপাতালের পরিচালক ডা. মো. সাইফুল ইসলাম জানান, মঙ্গলবার ইন্টার্ন চিকিৎসক এসোশিয়েসন এবং বঙ্গবন্ধু ইন্টার্ন চিকিৎসক এসোশিয়েশনের দুটি কমিটি সুপারিশ করেছেন সিটি মেয়র আবুল খায়ের আবদুল্লাহ। ওই সুপারিশের ভিত্তিতে তিনি মঙ্গলবার দুটি কমিটি অনুমোদন দিয়েছেন। এতে পদবঞ্চিতরা ক্ষুদ্ধ হয়ে মঙ্গলবার দুপুর থেকে কর্মবিরতী পালন করছেন। পরিচালক বলেন, কমিটি সমর্থক চিকিৎসকরা দায়িত্ব পালন করছেন। একাংশের ধর্মঘটের কারণে চিকিৎসা সেবা কিছুটা ব্যাহত হচ্ছে।