মঙ্গলবার (১৯ মার্চ) দুপুরে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের সভা কক্ষে ডেঙ্গু ও চিকুনগুনিয়া নির্মূলে করণীয় বিষয়াদি নিয়ে ঢাকার দুই সিটি করপোরেশনের সঙ্গে একটি আন্তঃমন্ত্রণালয় বৈঠক শেষে প্রেস ব্রিফিংয়ে তিনি এ কথা জানান।
স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, ডেঙ্গু মোকাবিলায় আমরা প্রতিরোধমূলক ব্যবস্থা নেব। প্রত্যেক ওয়ার্ডের নাগরিকদের বোঝানো হবে কেন ডেঙ্গু হয়। ডেঙ্গু যাতে বংশবিস্তার করতে না পারে সে অনুযায়ী বাসা বাড়ি পরিষ্কার রাখা। পাশাপাশি হাসপাতালগুলোকে নির্দেশ দেওয়া হচ্ছে যেন তারা প্রস্তুত থাকে।
তিনি আরও বলেন, ডেঙ্গু আক্রান্ত হলে দ্রুত হাসপাতালে আসতেন।অনেক সময় দেখা যায় দেরিতে আসে। তখন কিছু করা যায় না। এই ম্যাসেজগুলো আমরা দিচ্ছি।
এ সময় ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের মেয়র মো. আতিকুল ইসলাম বলেন, আমরা প্রথমে বিটিআই (মশার ওষুধ) এক ঠিকাদারের মাধ্যমে এনেছিলাম। এটার মূল্য ছিল ৮৫ লাখ টাকা। এটা টেস্ট কেস হিসেবে চেয়েছিলাম। যে ঠিকাদার নিয়ে এসেছেন তিনি এটাকে মিস ডিক্লেয়ারেশন করেছেন এবং যা ইচ্ছে তাই করেছেন। যা নিয়ে সোশ্যাল মিডিয়ায় আমাদের সমালোচনা হয়েছে।
তিনি বলেন, ৫ টনের মূল্য ছিল ৮৭ লাখ টাকা। সেই ৫ টন বিটিআই আদালতের নির্দেশনার কারণে ব্যবহার করিনি। যে ঠিকাদার এ কাজ করেছেন তিনি একবার জেলেও গিয়েছেন। এজন্য এবার ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশন সরাসরি বিটিআই আমদানি করতে যাচ্ছে।
তিনি বলেন, আজ এখানে যারা বিশেষজ্ঞ আছেন তারাও বলেছেন যে কীভাবে অর্গানিক, বায়োলজিক্যাল ট্রিটমেন্ট করা যায়। বিটিআই হচ্ছে বায়োলজিক্যাল ট্রিটমেন্টের মধ্যে উত্তম প্রস্তাব। এটি নিয়ে আমরা অলরেডি কাজ করেছি।
তিনি বলেন, আমরা আমাদের কাজ চালিয়ে যাচ্ছি। গুলশান লেক যেদিন প্রথম পরিষ্কার করি সেখান থেকে কোটি কোটি মশা বের হয়ে গেছে। আগামীকাল যাব উত্তরায়, রাজউকের প্রত্যেকটি খাল পরিষ্কার করার জন্য। ডেঙ্গু প্রতিরোধে সবাইকে দায়িত্ব নিতে হবে। আপনারা দেখেছেন, পেট্রোবাংলার নিচে থেকে লার্ভিসাইড পেয়েছি, জরিমানা করেছি ৫ লাখ টাকা।