সেই অচলাবস্থা কাটালেন আরসিবির মেয়েরা। ভারতীয় নারী ক্রিকেটের উজ্জ্বল মুখ স্মৃতি মান্ধানার নেতৃত্বে নারী আইপিএলের শিরোপা জিতল বেঙ্গালুরু। উইমেন্স প্রিমিয়ার লিগে দিল্লি ক্যাপিটালসকে আট উইকেটে হারাল তার। দিল্লিও এর আগে শিরোপা জেতেনি কখনো। তাই দুই দলের জন্যেই ছিল প্রথম শিরোপার হাতছানি।
লড়াই ছিল দুই অজি ক্রিকেটারের মধ্যেও। দিল্লিতে ছিলেন নারী ক্রিকেটের ইতিহাসের সফলতম অধিনায়ক মেগ ল্যানিং। ৩২ বছর বয়সী এই অজি ক্রিকেটার দেশকে ৫টি বিশ্বকাপ এনে দিয়েছেন। আর বেঙ্গালুরুতে ছিলেন এলিস পেরি। ৬ বিশ্বকাপ জেতা এই নারী দশকসেরা ক্রিকেটার হয়েছিলেন। ফাইনালে দুই অজির লড়াইয়ে জয় পেলেন পেরিই।
আগে ব্যাট করে ১৮.৩ ওভার ব্যাটিং করে দিল্লি তোলে ১১৩ রান। উদ্বোধনী জুটিতেই দলটি তোলে ৬৪ রান। অধিনায়ক মেগ ল্যানিং করেন ২৩ বলে ২৩ রান। আরেক ওপেনার শেফালি ভার্মার ব্যাট থেকে আসে ৪৪ রান। স্বাভাবিকভাবেই ধারণা করা হয়েছিল, এখান থেকে দারুণ কিছু অপেক্ষা করছে দিল্লির জন্য।
যদিও ওপেনিং জুটি ভাঙার পর আর কিছুই করতে পারেনি তারা। অভিজ্ঞ জেমিমাহ রড্রিগেজ শূন্য, অ্যালিস ক্যাপ্সে শূন্য, মারিজান কাপ ৮ এবং জেস জোনাসেন ৩ রানে ফিরলে অনেকটা তাসের ঘরের মতো ভেঙে যায় দিল্লির মেয়েরা। বেঙ্গালুরুর হয়ে ১২ রান খরচায় চার উইকেট নেন শ্রিয়াঙ্কা পাতিল। ২০ রানে তিন উইকেট নেন আরেক অজি ক্রিকেটার সোফি মলিনিউ।
জবাবে একদম শেষ ওভারে গিয়ে ম্যাচটি জিতে নেয় বেঙ্গালুরুর নারী দল। শিরোপা জয়ের পেছনে বড় অবদান রাখেন দলটির অজি অলরাউন্ডার এলিস পেরি। ৩৭ বলে চারটি চারে ৩৫ রান তুলে অপরাজিত থাকেন এই অলরাউন্ডার। সঙ্গে ১৪ বলে ১৭ রান তুলে অপরাজিত থাকেন রিচা ঘোষ। অধিনায়ক মান্ধানার ব্যাটে আসে ৩৯ বলে ৩১ রানের একটি ইনিংস। এছাড়া ২৭ বলে ৩২ রান করেন সোফি ডিভাইন।