রোববার (১৭ মার্চ) সকালে ভারতীয় সংবাদমাধ্যমগুলো জানায়, ৪০ ঘণ্টার প্রচেষ্টায় ৩৫ জলদস্যু ও ১৭ ক্রুসহ মাল্টার জাহাজটি নিজেদের নিয়ন্ত্রণে নেয় ভারতীয় নৌ সেনা ও কমান্ডোরা। এই অভিযানে তারা আইএনএস সুভদ্র নামের একটি যুদ্ধজাহাজ, হেলিকপ্টার এবং ড্রোন ব্যবহার করে।
মাল্টার পতাকাবাহী জাহাজটি মুক্ত করার পর একইভাবে বাংলাদেশের পতাকাবাহী জাহাজ এমভি আব্দুল্লাহকেও উদ্ধারে ভারতীয় নৌবাহিনী পরিকল্পনা সাজাচ্ছে বলে জানিয়েছেন সোমালিয়ার মন্ত্রী।
গত ১২ মার্চ মোজাম্বিক থেকে ৫৫ হাজার টন কয়লা নিয়ে সংযুক্ত আরব আমিরাতে যাওয়ার পথে সোমালি জলদস্যুরা জাহাজটি ছিনতাই করে। এরপর থেকে জাহাজটি তাদের নিয়ন্ত্রণেই রয়েছে।
বাংলাদেশি জাহাজ উদ্ধারের ব্যাপারে সোমালি মন্ত্রী বলেছেন, “এমভি রুয়েনের মতো, তারা (নৌবাহিনী) একটি অভিযান চালানো এবং ক্রুদের উদ্ধারের পরিকল্পনা সাজাচ্ছে।”
তিনি আরও বলেছেন, “আমরা দস্যুদের পুন্টল্যান্ডের উপকূলকে তাদের জাহাজ আটকে রাখা ও দস্যুতার স্থান হতে দিব না। আমরা আমাদের বন্ধুদের বার্তা দিয়েছি দস্যুদের হামলা চালানোর সুযোগ দেওয়া যাবে না।”
এমভি রুয়েন নামের জাহাজটি গত বছরের ডিসেম্বরে ছিনতাই করে জলদস্যুরা। ওই সময় এতে ১৮ জন ক্রু ছিলেন। এরমধ্যে অসুস্থ হওয়ায় এক ক্রুকে ছেড়ে দিয়েছিল তারা। তবে বাকি ১৭ জনকে তিনমাসেরও বেশি সময় ধরে আটকে রাখা হয়েছিল। কারণ ওই জাহাজ কর্তৃপক্ষ দস্যুদের কোনো ধরনের মুক্তিপণ দেয়নি।
ইউরোপীয় ইউনিয়নের নৌ পুলিশ জানিয়েছিল, বাংলাদেশি জাহাজ এমভি আব্দুল্লাহকে ছিনতাইয়ের কাজে এমভি রুয়েনকে ব্যবহার করা হয়েছিল বলে ধারণা করা হচ্ছে।