রোববার (১৭ মার্চ) যৌথ কারিগরি মিশন চূড়ান্ত প্রতিবেদন প্রকাশ করে। প্রতিবেদনে গত ৭ জানুয়ারির নির্বাচনের সময়কাল, প্রচারের সময়কাল, নির্বাচনের দিন এবং নির্বাচনের আগেপরের নির্বাচনগুলোর তুলনায় সরাসরি ও অনলাইনে সহিংসতা কম হয়েছে বলে উল্লেখ করা হয়েছে। এর কারণ হিসেবে দেশব্যাপী কার্যকর নির্বাচনী প্রতিযোগিতার অনুপস্থিতি এবং দেশের নিরাপত্তায় সরকারের বাড়তি নজর দেওয়ায় বিষয়টি উল্লেখ করা হয়েছে।
প্রতিবেদনটি ভবিষ্যতে বাংলাদেশে আরও শান্তিপূর্ণ নির্বাচনের একটি মূল্যবান রোডম্যাপ হিসেবে অবদান রাখবে জানিয়ে এনডিআইয়ের এশিয়া-প্যাসিফিক অঞ্চলের আঞ্চলিক পরিচালক মনপ্রীত সিং আনন্দ বলেন, অহিংস রাজনৈতিক পরিবেশ গড়ে তোলার লক্ষ্যে রাজনৈতিক দল, সরকার এবং নাগরিক সমাজসহ সামাজিক-রাজনৈতিক পরিমণ্ডলজুড়ে নেতাদের নির্বাচনী রাজনীতির নিয়ম, অনুশীলন এবং নিয়মগুলোর সংস্কার করার প্রয়োজন রয়েছে।
আইআরআইর এশিয়া-প্রশান্ত মহাসাগরীয় বিভাগের জ্যেষ্ঠ পরিচালক জোহানা কাও বলেন, নির্বাচনে সহিংসতা নাগরিকদের অংশগ্রহণের ক্ষেত্রে একটি প্রধান প্রতিবন্ধক। বাংলাদেশের নির্বাচনকে পুরোপুরি অংশগ্রহণমূলক করতে হলে সব পক্ষকে অহিংস রাজনীতিকে প্রাধান্য দিতে হবে।
মিশনটি একটি যৌথ প্রাক-নির্বাচনী মূল্যায়ন মিশন (পিইএএম) অনুসরণ করে যা এনডিআই এবং আইআরআই ২০২৩ সালের ৮ থেকে ১১ অক্টোবর পর্যন্ত পরিচালনা করেছিল।
এর আগে গত ৭ মার্চ নির্বাচন নিয়ে চূড়ান্ত প্রতিবেদন প্রকাশ করে ইউরোপীয় ইউনিয়নের (ইইউ) কারিগরি দল।