গত বৃহস্পতিবার (১৪ মার্চ) সংস্থাটির মহাব্যবস্থাপক (স্টোর ও প্রকিউরমেন্ট) মো. নজরুল ইসলাম স্বাক্ষরিত বিজ্ঞপ্তিতে এই ভাড়ার বিষয়টি উল্লেখ করা হয়।
বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়, চুক্তির শর্ত হিসেবে এক বছরের জন্য সর্বমোট ১২ হাজার টাকা ঢাকা ম্যাস ট্রানজিট কোম্পানি লিমিটেডের ব্যাংক একাউন্টে এবং সমুদয় ভ্যাট ও আয়কর সরকারি কোষাগারে জমা দিয়ে ৪ এপ্রিলের মধ্যে চুক্তি স্বাক্ষর করতে হবে। তবে আর্থিক দর প্রস্তাবে উল্লেখিত খাদ্য তালিকার নির্ধারিত মূল্য তালিকা মেনে ক্যান্টিন পরিচালনা করতে হবে।
এদিকে, এই বিজ্ঞপ্তি প্রকাশের পর সরকারি প্রতিষ্ঠানের এমন বিশাল জায়গা ‘নামমাত্র মূল্যে’ ভাড়া দেওয়ার ঘটনায় ফেসবুকে সমালোচনায় মুখর হয়েছেন নেটিজেনরা।
‘নামমাত্র মূল্যে’ ক্যান্টিন ভাড়া দেওয়ার বিষয়ে জানতে ডিএমটিসিএলের ব্যবস্থাপনা পরিচালক এমএএন ছিদ্দিক গণমাধ্যমকে বলেন, ‘সারা বাংলাদেশে যে নিয়মে চলে আমরাও সেইভাবে দিয়েছি। আমরা দুই বছর ধরে চেষ্টা করছি এই ক্যানটিন দেওয়ার জন্য, কিন্তু পাচ্ছিলাম না। যেহেতু বাইরের কোনো লোক খাবে না। আমাদের লিমিটেড স্টাফ এতে কেউ আগ্রহ পাচ্ছে না। এটা দ্বিতীয়বার বিজ্ঞপ্তি দেওয়া হয়েছে। গত বছর সেপ্টেম্বর আবার এ বছর দেওয়া হয়েছে।
ডিএমটিসিএলের ব্যবস্থাপনা পরিচালক বলেন, ‘এটা তো ভর্তুকির ক্যানটিন, এটা মানুষের জন্য না। এখানে বাইরের লোকের কোনো সম্পর্ক নেই। এখানে শুধু স্টাফরা খাবে এবং সেটাও ভর্তুকির ভিত্তিতে খাবে। এজন্য দরপত্র দাখিলই করে না, আগ্রহ নাই। যেহেতু ভর্তুকি দিয়ে খাওয়াতে হবে, সেটা ভাড়ার সঙ্গে সমন্বয় হবে। এখানে এক হাজার টাকার যে কথা বলা হয়েছে, তার সঙ্গে এটার কোন সম্পর্ক নেই। এখানে একটা প্যাকেজ থাকবে। সেটা সাতটা বা চারটা হতে পারে। ঢাকায় আরও এমন স্টাফ ক্যানটিন আছে, সেটা যেভাবে পরিচালিত হয় এটাও সেভাবে হবে। সেখানে যেভাবে পরিচালিত হয়, সেখানে কতগুলো প্যাকেজ দেয়। যেমন ৫০ টাকা দিয়ে এই তিনটা তরকারি খেতে পারবে। ৬০ টাকা দিয়ে এই কটা তরকারি খেতে পারবেন। এটা ভর্তুকির ভিত্তিতে হয়ে থাকে।’