গোপন সংবাদের ভিত্তিতে বৃহস্পতিবার (১৫ মার্চ) সকাল সাড়ে ৫টার দিকে পটুয়াখালী সেতুর ওপর থেকে শিশু পাচারকারী লাইজু বেগমকে (৩৮) গ্রেপ্তার করা হয়। পরে লাইজুর স্বীকারোক্তি অনুযায়ী পটুয়াখালী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের সামনে থেকে শিশুটির বাবা হানিফ মৃধাকেও গ্রেপ্তার করে পুলিশ।
ওসি বলেন, পরপর চারটি কন্যা সন্তান হওয়ায় নবজাতকের বাবা হানিফ মৃধা অখুশি হয়ে লাইজু বেগম নামে এক নারীর যোগসাজোসে বিক্রির উদ্দেশ্যে নিজের নবজাতককে চুরি করেন।
এ বিষয়ে পটুয়াখালী থানার একটি সাধারণ ডায়েরি করা হয়েছে। গ্রেপ্তারকৃতদের আদালতের মাধ্যমে জেল হাজতে পাঠানো হয়েছে।
সাধারণ ডায়েরিতে উল্লেখ করা হয়, গত বুধবার (১৪ মার্চ) রাতে শহরের চৌরাস্তা এলাকায় কর্তব্য পালনকালে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে জানতে পারেন একটি মানব পাচার চক্র গত ৫ মার্চ পটুয়াখালী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ৪র্থ তলায় নবজাতক শিশু ওয়ার্ড থেকে একটি শিশু চুরি করেছে। সেই সংবাদের সত্যতা যাচাই বাচাই করতে গিয়ে জানতে পারেন হানিফ মৃধার স্ত্রী শাহনাজ বেগম গত ৩ মার্চ শহরের পিটিআই রোডস্থ দি অ্যাপোলো হাসপাতালে সিজারিয়ান অপারেশনের মাধ্যমে একটি কন্যা সন্তান প্রসব করেন। শিশুটি অসুস্থ হওয়ায় তাকে পটুয়াখালী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের নবজাতক পরিচর্যা কেন্দ্রে ভর্তি করা হয়। শিশুটির বাবা হানিফ মৃধা এবং দি অ্যাপোলো হাসপাতালের আয়া লাইজু বেগম মিলে গত ৫ মার্চ পটুয়াখালী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের শিশু বিভাগের স্ক্যানু থেকে শিশুটি চুরি করেন।
পুলিশের প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে হানিফ মৃধা ও লাইজু বেগম জানায়, এর আগেও হানিফ মৃধার তিনটি কন্যা সন্তান হয়েছে। আবারও কন্যা সন্তান প্রসব করায় হানিফ মৃধা অসন্তষ্ট হন। এ্যাপোলো হাসপাতালের আয়া লাইজু বেগমসহ অজ্ঞাত নামা আসামীদের প্ররোচনায় ও সহায়তায় নবজাতক সন্তানের মা মোসাম্মদ শাহনাজ বেগমের অগোচরে অধিক লাভের আশায় পটুয়াখালী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের স্ক্যানু থেকে শিশুটি চুরি করে লাইজুর হেফাজতে রাখেন।
বৃহস্পতিবার শিশুটিকে পাচারের চেষ্টাকালে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়।
পটুয়াখালী সদর থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) জসিম আওঅ জানান, শিশুটিকে তার মায়ের হেফাজতে দেওয়া হয়েছে।আসামিদেরকে আদালতের মাধ্যমে জেল হাজতে পাঠানো হয়েছে। মামলা তদন্তাধীন।