সোমবার সন্ধ্যার দিকে সদর উপজেলার মিজানপুর ইউনিয়নের গোদারবাজার চরে মরদেহ দেখতে পান স্থানীয়রা। মরদেহের ব্যাপারে কোনো তথ্য নেই রাজবাড়ী সদর থানা ও দৌলতদিয়া নৌ পুলিশের কাছে। রাতে দুই থানা পুলিশের সঙ্গে কথা বললে তারা মরদেহের ব্যাপারে কোনো তথ্য দিতে পারেনি।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে এক যুবক বলেন, সোমবার বিকেলে আমরা কয়েকজন চরে ঘুরতে গিয়েছিলাম। সন্ধ্যা হয়ে গেলে ফেরার পথে আমরা চরের মধ্যে একটি অর্ধগলিত মরদেহ দেখতে পায়। পরে আমি সেটার ছবি তুলি এনেছি। মরদেহটি দেখে মনে হচ্ছে এলাকার বাইরে থেকে ভেসে আসছে। ধারণা করা হচ্ছে ১০-১২ দিন আগে ব্যক্তিটি মারা গেছে। পদ্মায় ভাসতে ভাসতে গোদারবাজার এলাকায় এসে পৌঁছেছে।
স্থানীয় কয়েকজন জানান, পদ্মা নদীর গোদারবাজার নদীর মাঝে চরের উত্তর দিকে শেষ প্রান্তে ৩/৪দিন ধরে মরদেহটি আটকে রয়েছে। কিন্ত তারা প্রথমে অন্য কিছু মনে করেছিল।
রাজবাড়ীর অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) মো. ইফতেখারুজ্জামান বলেন, মরদেহটির ব্যাপারে আপনার কাছ থেকে তথ্য পেলাম। আমরা খোঁজ নিচ্ছি।
এর আগে গত শনিবার (৯ মার্চ) বিকেল সাড়ে ৫টার দিকে রাজবাড়ীর পাংশা উপজেলার বাহাদুরপুর পদ্মার চরে থেকে পুলিশ অজ্ঞাত এক নারীর (৪২) মরদেহ উদ্ধার করে। পুলিশ জানায়, বিকাল ৫টার দিকে স্থানীয়রা ফোনে খবর দেন পদ্মার চরে একটি মরদেহ পড়ে আছে। খবর পেয়ে পাংশা থানা পুলিশ মরদেহটি উদ্ধার করে।
পাংশা মডেল থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) স্বপন কুমার মজুমদার বলেন, অর্ধগলিত একটি মরদেহ পদ্মার চরে পড়ে থাকতে দেখে স্থানীয়রা থানায় জানায়। মরদেহের দেহের দুইটি অংশ দুইদিকে পড়ে ছিল। পোশাক দেখে মনে হয়েছে নারীর মরদেহ।স্থানীয়রা বলছে মরদেহটি পাবনার সুজানগর থেকে পদ্মার পানিতে ভেসে এসেছে। আমরা পাবনা পুলিশের সঙ্গে যোগাযোগ করেছি।