মঙ্গলবার (১২ মার্চ) সকাল ১০টায় সিনেট ভবন সংলগ্ন প্যারিস রোডে আয়োজিত এক মানববন্ধনে স্টুডেন্ট রাইটস অ্যাসোসিয়েশনর সভাপতি মেহেদী সজিব এই ঘোষণা দেন।
নিজেকে ভুক্তভোগী দাবি করে ইসলামিক স্টাডিজ বিভাগের প্রথম বর্ষের শিক্ষার্থী ফাতেমাতুস সানিহা বলেন, আমি একজন ভুক্তভোগী। আমি ক্লাসে সবসময় হিজাব পড়ে আসি। আমার ভাবতে খারাপ লাগে। আমার শিক্ষক এই সম্মানিত পোশাককে হেয় করেছেন। একই সাথে তিনি সংবিধানকে অবজ্ঞা করেছেন। সংবিধানে আমাদের ব্যক্তি স্বাধীনতা দেওয়া হয়েছে। কিন্তু আমাদের ব্যক্তি স্বাধীনতা লঙ্ঘন করেছেন। আমি তার শাস্তি দাবি করছি।
মানববন্ধনে একাত্মতা পোষণ করে রাকসু আন্দোলন মঞ্চের সদস্য সচিব আমানুল্লাহ আমান শিক্ষক হাফিজুর রহমানের পদত্যাগ দাবি করে বলেন, দেশের সংবিধান অনুযায়ী প্রতিটি ব্যক্তিই স্বাধীন। কেউ হিজাব না পড়তে চাইলে এটা যেমন তার স্বাধীনতা কেউ পড়তে চাইলে এটাও তার স্বাধীনতা ও অধিকার। আমরা প্রত্যাশা করি প্রতিটি শিক্ষক নৈতিকভাবে শিক্ষিত হবেন। শিক্ষক সুবল আচরণ করবেন। হাফিজুর রহমানের মেয়ে সংক্রান্ত যেসব কথোপকথন সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে এসেছে তা নিন্দার দাবিদার।
উল্লেখ্য, গতকাল ইসলামিক স্টাডিজ বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক হাফিজুর রহমানের বিরুদ্ধে ক্লাসে হিজার-নিকাব খুলতে বাধ্য করে ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত দেওয়ার অভিযোগ করেন বিভাগের শিক্ষার্থীরা। গতকাল বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় গ্রন্থাগারের সামনে এই শিক্ষকের শাস্তি দাবিতে মানববন্ধন করেন তারা। এরই প্রেক্ষিতে আজ স্টুডেন্ট রাইটস অ্যাসোসিয়েশন মানববন্ধনের আয়োজন করে। সেখানে তিন শতাধিক শিক্ষার্থী ও মানবাধিকার কর্মী উপস্থিত ছিলেন।