বিজিবি মহাপরিচালক মেজর জেনারেল মোহাম্মদ আশরাফুজ্জামান সিদ্দিকী সকালে পিলখানার বিজিবি সদর দপ্তরের সীমান্ত সম্মেলন কেন্দ্রে বিজিবি সদস্যদের বিশেষ দরবার গ্রহণ করেন।
বিজিবি সদর দপ্তরের জনসংযোগ কর্মকর্তা মো. শরীফুল ইসলাম জানান, দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনসহ বিভিন্ন স্থানীয় ও জাতীয় নির্বাচনে সফলতার সঙ্গে দায়িত্ব পালন করায় বিজিবির প্রতিটি সদস্যের প্রতি ধন্যবাদ জ্ঞাপন করেন বিজিবি মহাপরিচালক।
তিনি বিজিবির আভিযানিক, প্রশাসনিক, প্রশিক্ষণ, গোয়েন্দা কার্যক্রম, পারস্পরিক যোগাযোগ এবং খেলাধুলা ও শারীরিক উৎকর্ষতার বিষয়ে গুরুত্বারোপ করে সীমান্ত সুরক্ষা, মাদক ও চোরাচালান রোধসহ বিজিবির ওপর অর্পিত যেকোনো দায়িত্ব সততা ও সত্যবাদিতা, আনুগত্য, নিষ্ঠা এবং শৃঙ্খলার সঙ্গে পালনের আহ্বান জানান। পাশাপাশি যেকোনো ধরনের অনৈতিক কাজ থেকে নিজেকে দূরে রেখে ধর্মীয় ও পারিবারিক মূল্যবোধকে সমুন্নত রাখার বিষয়ে নির্দেশনা দেন।
দরবার শেষে বিজিবিতে অপারেশনাল কর্মকাণ্ড, চোরাচালান নিরোধ এবং মাদকদ্রব্য আটকের ক্ষেত্রে কৃতিত্ব অর্জনকারী শ্রেষ্ঠ কোম্পানি/বিওপি কমান্ডারসহ অসাধারণ কৃতিত্ব অর্জনকারী সর্বমোট ২৮ জনকে ব্যক্তিগত পুরস্কার প্রদান করা হয়।
একইসঙ্গে ৪টি শ্রেষ্ঠ ব্যাটালিয়নকে ট্রফি প্রদান করা হয়। এরপর ৫৩ জনকে মহাপরিচালকের অপারেশনাল ও প্রশাসনিক প্রশংসাপত্র (ইনসিগনিয়াসহ) প্রদান করা হয়।
পরে বিজিবি মহাপরিচালক বাহিনীর খেতাবপ্রাপ্ত বীর মুক্তিযোদ্ধা ও পরিবারবর্গকে সংবর্ধনা, উপহার ও অনুদান প্রদান করেন। এ সময় তিনি বাংলাদেশের মহান মুক্তিযুদ্ধে তৎকালীন ইপিআরের ৮১৭ জন বীর শহীদের আত্মত্যাগ ও বীরত্বের কথা গভীর শ্রদ্ধা ভরে স্মরণ করেন।
বিজিবি মহাপরিচালক বলেন, মুক্তিযোদ্ধারা বাংলাদেশের সূর্য সন্তান। তাদের মহান আত্মত্যাগের বিনিময়েই আমরা পেয়েছি স্বাধীন সার্বভৌম বাংলাদেশ। তাদের এই আত্মত্যাগ জাতি চিরদিন শ্রদ্ধার সঙ্গে স্মরণ করবে।
তিনি আরও বলেন, বর্তমান সরকার মুক্তিযোদ্ধাদের মাসিক সম্মানী ভাতা বৃদ্ধিসহ তাদের পুনর্বাসন ও কল্যাণে সব সুযোগ-সুবিধা আগের তুলনায় বহুগুনে বৃদ্ধি করেছে। একইভাবে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশও বীর মুক্তিযোদ্ধা এবং তাদের উত্তরসূরিদের জন্য সবসময় কাজ করে যাচ্ছে।
বিজিবি মহাপরিচালক বলেন, বিজিবির খেতাবপ্রাপ্ত শহীদ বীর মুক্তিযোদ্ধাদের পরিবারবর্গকে বিজিবি ওয়েলফেয়ার ট্রাস্ট থেকে মাসিক ২ হাজার টাকা আর্থিক অনুদান প্রদান, বীরশ্রেষ্ঠ পরিবার ও পোষ্যদেরকে ভর্তুকি মূল্যে রেশন প্রদান এবং বিজিবিতে চাকরির ক্ষেত্রে বীর মুক্তিযোদ্ধাদের সন্তান ও নাতি/নাতনিদেরকে অগ্রাধিকার দেওয়া হচ্ছে।
বিজিবি মহাপরিচালক ভবিষ্যতেও বীর মুক্তিযোদ্ধা ও তাদের পরিবারবর্গের পাশে থেকে সর্বাত্মক সহযোগিতা প্রদানের আশ্বাস দেন।