জাতিসংঘের শরণার্থীবিষয়ক সংস্থা ইউএনআরডব্লিউএ জানিয়েছে, রমজান মাস এমন এক সময়ে শুরু হয়েছে যখন ‘গাজার সর্বত্র ক্ষুধা’ বিরাজ করছে। রোজার মাসে ‘অবিলম্বে যুদ্ধবিরতি’ করার আহ্বানও পুনর্ব্যক্ত করেছে সংস্থাটি।
এদিকে রমজানের প্রাক্কালে ইসরায়েলি বাহিনী দখলকৃত পূর্ব জেরুজালেমের আল-আকসা মসজিদে ফিলিস্তিনিদের প্রবেশে বাধা দিয়েছে বলে স্থানীয় গণমাধ্যমের খবরে বলা হয়েছে।
সোমবার (১১ মার্চ) পৃথক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে বার্তাসংস্থা আনাদোলু এবং সংবাদমাধ্যম আল জাজিরা।
ফিলিস্তিনি শরণার্থীদের জন্য জাতিসংঘের সংস্থা (ইউএনআরডব্লিউএ) রোববার জানিয়েছে, অবরুদ্ধ এই ভূখণ্ডে ইসরায়েলের মারাত্মক আক্রমণের মধ্যে গাজা উপত্যকাজুড়ে ক্ষুধা ছড়িয়ে পড়েছে। ইউএনআরডব্লিউএ এক বিবৃতিতে বলেছে, ‘গাজার সর্বত্রই ক্ষুধা বিরাজ করছে।’
জাতিসংঘের এই সংস্থাটি বলেছে, পবিত্র রমজান সোমবার শুরু হতে চলেছে কিন্তু ফিলিস্তিনি এই উপত্যকায় মানবিক পরিস্থিতি অত্যন্ত দুঃখজনক। সংস্থাটির ভাষায়, ‘উত্তরের পরিস্থিতি দুঃখজনক, বারবার আহ্বান জানানো সত্ত্বেও সেখানে স্থলপথে সাহায্য সরবরাহের আবেদন প্রত্যাখ্যান করা হচ্ছে। রমজান ঘনিয়ে আসছে। অন্যদিকে মৃতের সংখ্যাও বাড়ছে।’
ইউএনআরডব্লিউএ বলেছে, ‘জীবন বাঁচাতে গাজা উপত্যকাজুড়ে মানবিক সহায়তার প্রবেশের সুযোগ এবং অবিলম্বে যুদ্ধবিরতি কার্যকর করা অপরিহার্য।’
এদিকে গাজা শহরে ইসরায়েলি বিমান হামলায় ১০ জন নিহত হয়েছেন। ইসরায়েলি বাহিনী গাজা শহরের তাল আল-হাওয়ার আশপাশে আশুর পরিবারের একটি বাড়িতে বোমা হামলা চালিয়েছে এবং এতে কমপক্ষে ১০ জন নিহত হয়েছেন বলে ফিলিস্তিনের সরকারি বার্তাসংস্থা ওয়াফার প্রতিবেদনে বলা হয়েছে।
নিহতদের মধ্যে নারী ও শিশু রয়েছে উল্লেখ করে ওয়াফা জানিয়েছে, আহতদের নিকটবর্তী আল-শিফা হাসপাতালে স্থানান্তরিত করা হয়েছে।
অন্যদিকে রমজানে মুসল্লিদের আল-আকসা মসজিদে প্রবেশে বাধা দিয়েছে ইসরায়েল। বার্তাসংস্থা ওয়াফা অনুসারে, রোববার সন্ধ্যায় পবিত্র রমজান মাসের শুরু উপলক্ষে নামাজের জন্য অধিকৃত পূর্ব জেরুজালেমের আল-আকসা মসজিদে প্রবেশ করার চেষ্টা করলেও ইসরায়েলি বাহিনী শত শত মুসল্লিকে বাধা দিয়েছে।
ইসরায়েলি বাহিনী পুরুষ ও যুবতী নারীদের মসজিদে প্রবেশে বাধা দেয় এবং শুধুমাত্র ৪০ বছরের বেশি বয়সী নারীদের মসজিদে নামাজ পড়ার অনুমতি দেয় বলেও বার্তাসংস্থাটি জানিয়েছে।
প্রসঙ্গত, ইসরায়েলি বাহিনী গত কয়েক মাস ধরে ইসলামের তৃতীয় পবিত্র স্থান আল-আকসা মসজিদে ফিলিস্তিনিদের প্রবেশ নিষিদ্ধ করেছে।