জানা গেছে, ত্রিশাল পৌরসভার উপনির্বাচনে স্থানীয় সংসদ সদস্য এবিএম আনিছুজ্জামানের স্ত্রীর পরাজয় নিয়ে শনিবার রাতে ফেসবুকে একটি স্ট্যাটাস দেন উপজেলা ছাত্রলীগের সদস্য ফয়সাল আহমেদ। ওই স্ট্যাটাসে ক্ষুব্ধ ছিলেন স্থানীয় সংসদ সদস্যের কর্মী-সমর্থকরা। বিকেলে ফয়সাল মহিলা কলেজের সামনে একটি কম্পিউটার ট্রেনিং সেন্টারে প্রশিক্ষণ নিতে গেলে সেখানে এমপির লোকজন তাকে তুলে নিয়ে যায়। তুলে নিয়ে এমপির বাসায় ফয়সালের ওপর নির্যাতন চালিয়ে তাকে থানায় সোপর্দ করে।
এ খবর ছড়িয়ে পড়লে রাত সোয়া ৯টা থেকে সোয়া ১০টা পর্যন্ত ঘণ্টাব্যাপী ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়ক অবরোধ করে রাখেন উপজেলা ছাত্রলীগের বিক্ষুব্ধ নেতাকর্মীরা। মহাসড়কে টায়ারে আগুন জ্বালিয়ে বিক্ষোভকালে এমপি আনিছের বিরুদ্ধে স্লোগান দেন বিক্ষোভকারীরা। রাত সোয়া ১০টার দিকে লাঠিসোটাসহ ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা প্রতিবাদ মিছিল নিয়ে থানার গেটের সামনে গেলে এমপি গ্রুপের লোকজন বিপরীত দিক থেকে লাঠি নিয়ে এসে তাদের ধাওয়া দেয়। এসময় দুই গ্রুপের মধ্যে চলে ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া। এতে উপজেলা ছাত্রলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক ইমরান হোসেনসহ আহত হন অন্তত পাঁচ ছাত্রলীগ নেতাকর্মী।
ফয়সাল আহমেদ বলেন, আমি কম্পিউটার ট্রেনিং সেন্টারে প্রশিক্ষণে ছিলাম। সেখানে থেকে আমাকে তুলে এমপির বাসায় নিয়ে হকিস্টিক দিয়ে পেটায় তার কর্মীরা। তারা স্কচটেপ মোড়ানো বলের মতো ককটেল আমার হাতে তুলে আমাকে বলতে বলে সাবেক এমপির ছেলে হাসান তকে এটা দিয়ে পাঠিয়েছে বর্তমান এমপির বাসায় ফুটানোর জন্য। এ কথা না বললে আমাকে মেরে ফেলবে তাই আমি ভয়ে স্বীকার করি। পরে আমাকে থানায় দিয়ে দেয়।।
তিনি আরও বলেন, আমি ফেসবুকে পোস্ট করেছিলাম পৌরসভার নয়টি ওয়ার্ডের মেয়র (পৌর মাতা) ৯ সন্তানের মায়ের কি হলো। এই কথাটুকু লিখে ছিলাম। পরে পোস্ট ডিলিট করে দিয়েছি। ভুলের জন্য তাদের কাছে ক্ষমাও চেয়েছি।
ত্রিশাল থানার ওসি কামাল হোসেন বলেন, ফয়সালকে এমপির লোকজন থানায় দিয়ে যায়। তার বিরুদ্ধে কোনো অভিযোগ নেই। তাকে মুচলেকা দিয়ে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে।