এদিন নেপালের কাঠমান্ডুতে ম্যাচের বয়স তখন সবে চার মিনিট। মাঝমাঠ থেকে অতর্কিত এক আক্রমণে বল পেয়ে যান ভারতীয় ফুটবলার আনুশকা কুমারিয়া। শুরুতেই আনমার্কড থাকা আনুশকাকে পেছন থেকে বাংলাদেশি দুই ডিফেন্ডার থামানোর চেষ্টা করেন। তবে দ্রতগতিতে দুজনকে ছিটকে বাম পায়ের শটে বল জানলে পাঠান। তাতে ১-০ গোলের লিড নেয় ভারত।
প্রথমার্ধের বাকিটা সময় দুদলই চেয়েছে গোল করতে। ম্যাচের ৩৭ মিনিটে ভারতের গোলদাতা আনুশকা বাংলাদেশের কয়েকজনকে কাটিয়ে ভালো সম্ভাবনা তৈরি করলেও সেই যাত্রায় রক্ষা পায় লাল-সবুজের দল। ম্যাচের ৪৩ মিনিটে কর্নার থেকে গোলের দারুণ সুযোগ তৈরি করেও গোল করতে ব্যর্থ হয় বাংলাদেশ। শেষ পর্যন্ত ১-০ গোলে পিছিয়ে থেকে প্রথমার্ধ শেষ করে লাল-সবুজের প্রতিনিধিরা।
পিছিয়ে পরা বাংলাদেশ দ্বিতীয়ার্ধে বিরতি থেকে এসে মরিয়া হয়ে ওঠে গোল শোধ করতে। বেশ কিছু আক্রমণ করে তারা। তবে ফিনিশিং অভাবে গোলের দেখা পাচ্ছিলেন না টাইগ্রেসরা। তবে ম্যাচের ৭০ মিনিটে মরিয়ম বিনতের গোলে সমতায় ফেরে লাল-সবুজের প্রতিনিধিরা। কর্নার থেকে ভেসে আসা বলে মরিয়ম পা ছুঁয়ে বল জালে পাঠান। তাতে ম্যাচে ১-১ এ সমতায় ফেরে টাইগ্রেসরা।
এরপর আক্রমণ-পাল্টা আক্রমণে খেলতে থাকে দুই দল। কিন্তু কাঙ্খিত গোলের দেখা পাচ্ছিলো দুই দলেত কেউ। শেষ পর্যন্ত ১-১ সমতায় নির্ধারিত ৯০ মিনিটের খেলা শেষ হয়। এরপর শিরোপা নির্ধারনী ম্যাচ গড়ায় টাইব্রেকারে। যেখানে টাইগ্রেসদের প্রথম শট নিতে আসা প্রীতি হতাশ করেন। এরপর বাংলাদেশের হয়ে গোল করতে ব্যর্থ হম আলপি।