হামাসের সাথে ইসরায়েলের যুদ্ধ নিয়ে বেঞ্জামিন নেতানিয়াহু ও যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের মতপার্থক্য ক্রমান্বয়ে দৃশ্যমান হচ্ছে। গত মাসেও তিনি ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রীর যুদ্ধের নীতি নিয়ে একই ধরনের মন্তব্য করেছিলেন।
গাজা উপত্যকায় মানবিক সংকট ভয়াবহ আকার ধারণ করায় বাইডেন ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন। একই সঙ্গে গাজার দক্ষিণাঞ্চলীয় রাফাহ শহরে ইসরায়েলে সামরিক অভিযান চালানোর হুমকির বিষয়ে সতর্ক করে দিয়েছেন তিনি।
বাইডেন বলেছেন, ‘‘ইসরায়েলকে রক্ষার এবং হামাসের লাগাম টানারও অধিকার আছে নেতানিয়াহুর। কিন্তু সেখানে নেওয়া পদক্ষেপের পরিণতিতে নিষ্পাপ মানুষের প্রাণহানির ঘটনার দিকে তাকে অবশ্যই মনোযোগ দিতে হবে।’’
মার্কিন এই প্রেসিডেন্ট বলেন, ‘‘আমার মতে, তিনি (নেতানিয়াহু) ইসরায়েলকে সহায়তা করার চেয়ে ক্ষতিই বেশি করছেন।’’
গাজা উপত্যকায় পাঁচ মাসের বেশি সময় ধরে হামাসের সাথে যুদ্ধ করছে ইসরায়েল। এই যুদ্ধে ৩১ হাজারের বেশি মানুষের প্রাণহানি ঘটেছে। ইসরায়েলি সামরিক বাহিনীর নির্বিচার হামলায় ২৪ লাখ বাসিন্দার গাজা উপত্যকায় ভয়াবহ মানবিক বিপর্যয় তৈরি হয়েছে। অর্ধাহার-অনাহারে লাখ লাখ মানুষ দিনাতিপাত করছেন।
গাজায় ইসরায়েলি বাহিনীর অব্যাহত হামলা থেকে বাঁচতে উপত্যকার দক্ষিণের রাফাহ শহরে বর্তমানে প্রায় ১৫ লাখ মানুষ আশ্রয় নিয়েছেন। আর এই শহরটিতে ইসরায়েল আগ্রাসন চালাতে পারে বলে জানিয়েছে। তবে রাফাহ শহরে ইসরায়েলি বাহিনীর অভিযানের বিরোধিতা করেছে যুক্তরাষ্ট্র।
রাফাহ আগ্রাসনের বিষয়ে ৮১ বছর বয়সী ডেমোক্র্যাট নেতা জো বাইডেন বলেছেন, ‘‘এটা একেবারে চূড়ান্ত সীমা। আমি কখনই ইসরায়েলকে ছেড়ে যাব না। ইসরায়েলের প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা এখনও সংকটাপন্ন।’’
‘‘এখানে কোনও চূড়ান্ত সীমা নেই; যেখানে আমি সব অস্ত্রের সরবরাহ বন্ধ করতে চাই। কারণ তাদের সুরক্ষার জন্য আকাশ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা আয়রন ডোম নেই।’’ তবে নিজের এমন মন্তব্যের পাল্টাও কথা বলেছেন জো বাইডেন। তিনি বলেন, আসলে এখানে রেড লাইন আছে… কারণ আপনি আরও ৩০ হাজার ফিলিস্তিনিকে মেরে ফেলতে পারেন না।’’