শনিবার (৯ মার্চ) কলমাকান্দা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ লুৎফল হক এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। এরআগে শুক্রবার সন্ধ্যার দিকে উপজেলার বাউসাম বাজারে এ ঘটনা ঘটে।
গ্রেফতারা হলেন— উপজেলার বাউসাম গ্রামের হাশেম (৪৫) ও ওয়াসিম (৪০)।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, কলমাকান্দা সদর ইউনিয়নের নয়ানগর গ্রামের প্রতিপক্ষ আবুলের ছেলেসহ ভাতিজারা বেশ কয়েকদিন ধরে বাউসাম বাজারে গরুর ব্যবসা করে আসছিল। ঘটনার দিন কামরুজ্জামানের সঙ্গে আবুল হোসেনের ছেলে ভাতিজারা বাগ্বিতণ্ডায় জড়ায়। এক পর্যায়ে উভয়পক্ষ সংঘর্ষে জড়ায়। এসময় অপর পক্ষের দেশীয় অস্ত্রের আঘাতে কামরুজ্জামান খন্দকার, তার ছেলে রাব্বি খন্দকার (২৫), ভাতিজা জসিম খন্দকার (৩০), রতন খন্দকার ও আবুল হোসেনসহ (৫৩) ৫ জন আহত হন। আহতদের স্থানীয়রা উদ্ধার করে কলমাকান্দা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে জরুরি বিভাগের কর্তব্যরত চিকিৎসক কামরুজ্জামান খন্দকারকে মৃত ঘোষণা করেন। আহত জসিম খন্দকারকে উন্নত চিকিৎসার জন্য ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করেন চিকিৎসক।
এ ঘটনায় নিহত কামরুজ্জামান খন্দকারের ছেলে রাব্বি খন্দকার বাদী হয়ে শনিবার দুপুরে থানায় হত্যা মামলা দায়ের করেন। এতে হাশেম ও ওয়াসিমসহ ১৮ জনের নাম উল্লেখসহ আরও ৫-৭ জনকে অজ্ঞাত আসামি করা হয়।
এ বিষয়ে কলমাকান্দা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ লুৎফল হক বলেন, লাশ ময়নাতদন্তের জন্য মর্গে পাঠানো হয়েছে। গ্রেফতার দুইজনকে শনিবার বিকেলে আদালতে পাঠানো হয়েছে। মামলার অন্য আসামিদের গ্রেফতারে অভিযান চলছে।
উল্লেখ্য, ২০২১ সালে ২৬ শে মে বুধবার উপজেলার কলমাকান্দা সদর ইউনিয়নের নয়ানগর গ্রামের খোরশেদ মিয়ায় ছেলে বাঁশ ব্যবসায়ী আব্দুল কাদির মিয়াকে (৪৫) খারনৈ ইউনিয়নের মেদিরকান্দা রুদ্রনগর গ্রামের কামরুজ্জামানের ভাইয়েরা টেটাবিদ্ধ করে হত্যা করেছিল। তারই জের ধরে প্রতিপক্ষের হামলায় ঘটনা ঘটতে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে।