শনিবার (৯ মার্চ) সন্ধ্যা ৬টার দিকে ইউনিয়নের দুধঘাটা এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। নিহত হৃদয় ওই এলাকার আমির আলী ভূঁইয়ার ছেলে।
সোনারগাঁ থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. কামরুজ্জামান ঢাকা পোস্টকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, বছরখানেক আগে পিরোজপুর ইউনিয়ন পরিষদের ৩নং ওয়ার্ডের সদস্য মুজিবুর রহমান মারা যাওয়ার পর তার পদটি শূন্য হয়। ৯ মার্চ নির্বাচন কমিশন পদটিতে উপনির্বাচনের দিন ঠিক করে। সকাল ৮টা থেকে বিকেল ৪টা পযর্ন্ত ভোটগ্রহণ চলে। ভোট গণনা শেষে মোরগ প্রতীকের প্রার্থী আজিজ সরকারকে বিজয়ী ঘোষণ করেন প্রিসাইডিং অফিসার। এ সময় পরাজিত প্রার্থী কায়সার আহম্মেদ রাজু ও তার সমর্থকেরা ফলাফল না মেনে ফলাফল পুনরায় গণনা করতে বলেন। একপর্যায়ে তারা উত্তেজিত হয়ে পড়েন। এতে দু-পক্ষের মধ্যে হাতাহাতির ও সংর্ঘষ শুরু হয়। এতে পুলিশ বাধা দিলে পুলিশের ওপর হামলা চালানো হয়। এ সময় রাবার বুলেট ছুড়ে পুলিশ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। সংঘর্ষে আহত দুইজনকে উদ্ধার করে সোনারগাঁ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক হৃদয়কে মৃত ঘোষণা করেন। আহত ফারুককে আশঙ্কাজনক অবস্থায় ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়।
সোনারগাঁ থানা পুলিশের উপপরিদর্শক (এসআই) পঙ্কজ সরকার জানান, নির্বাচন পরবর্তীতে ফলাফল ঘোষণা নিয়ে দুই পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ হয়। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ আনতে পুলিশ রাবার বুলেট ছোড়ে। পরিস্থিতি বর্তমানে নিয়ন্ত্রণে আছে।
সোনারগাঁ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের আবাসিক চিকিৎসা কর্মকর্তা (আরএমও) মোশারফ হোসেন ভূঁইয়া বলেন, হাসপাতালে আনার আগেই হৃদয় নামে ওই যুবকের মৃত্যু হয়। তার শরীরের সামনের অংশে বেশ কয়েকটি ছররা গুলি লেগেছে। ফারুক ভূঁইয়া নামে আরও একজনকে গুলিবিদ্ধ অবস্থায় হাসপাতালে আনা হলে তাকে আমরা ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করেছি।