মঙ্গলবার (৫ মার্চ) এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে দলটির পক্ষ থেকে বলা হয়, শতাধিক শ্রমিক রাতভর কামরাঙ্গীরচর থানার সামনে অবস্থান করে প্রায় ৭০ বছর বয়সী এই শ্রমিক নেতার সন্ধান দাবি করেছেন। তবুও থানা পুলিশ তাকে আটকের বিষয়টি অস্বীকার করে। সকালে শ্রমিকরা মিছিল করে কামরাঙ্গীরচর থানা ঘেরাও করেন। পরে দুপুর ১২টার দিকে পুলিশের পক্ষ থেকে শ্রমিক নেতা আব্দুল হাকিমকে আদালতে প্রেরণের কথা জানানো হয়। পরে জানা যায়, লালবাগ থানা থেকে তাকে আদালতে পাঠানো হয়েছে।
সিপিবি ঢাকা মহানগর দক্ষিণ জেলা কমিটির সভাপতি শামসুজ্জামান হীরা ও সাধারণ সম্পাদক জলি তালুকদার শ্রমিক নেতা আব্দুল হাকিমের গ্রেপ্তারের তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানান। তারা বলেন, বিনা পরোয়ানায় একজন শ্রমিক নেতাকে গভীর রাতে বাসা থেকে তুলে নেওয়া এবং তার অবস্থান সম্পর্কে পরিবার, স্বজন ও সহকর্মীদের তথ্য প্রদান না করা সাধারণ মানবাধিকারের লঙ্ঘন। অবিলম্বে তার বিরুদ্ধে আনা মিথ্যা ও হয়রানিমূলক মামলা প্রত্যাহার এবং অবিলম্বে মুক্তি দাবি করেন তারা।
বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়, গত ১১ ফেব্রুয়ারি ঢাকার জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে চাঁদাবাজ ও কার্ড (অবৈধ রুট পারমিট টোকেন) ব্যবসায়ী সোহরাব গং অপকর্ম ও জুলুমের বিরুদ্ধে বিক্ষোভ মিছিল করে রিকশা-ভ্যান-ইজিবাইক শ্রমিক ইউনিয়ন। পরবর্তী সময়ে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ কমিশনারকে স্মারক লিপি প্রদান করে। সেদিন রাতে চাঁদাবাজ সোহরাবকে তার এক সহযোগীসহ গ্রেপ্তার করে পুলিশ। এই আন্দোলনের নেতৃত্বে ছিলেন শ্রমিক নেতা আব্দুল হাকিম।
কিছু দিন পরই গ্রেপ্তার চাঁদাবাজরা জামিনে বের হয়ে এসে কামরাঙ্গীরচর এলাকার ব্যাটারি চালিত যানবাহনের চালকদের ওপর পুনরায় সীমাহীন নির্যাতন চালানো শুরু করেন। এর প্রতিবাদে ৬ মার্চ সকালে রিকশা-ভ্যান-ইজিবাইক শ্রমিক ইউনিয়ন কামরাঙ্গীরচরে শ্রমিক বিক্ষোভ কর্মসূচি ঘোষণা করেছে। যে কর্মসূচিতে মাইক ব্যবহারের অনুমতির আবেদন নিজে থানায় দিয়ে আসেন আব্দুল হাকিম। গতকাল (সোমবার) গভীর রাতে তাকে পুলিশ পরিচয়ে বাসা থেকে মোটরসাইকেলে তুলে নিয়ে যাওয়া হয়।