নিজের প্রথম টি-টোয়েন্টিতে জাকের মাতলেন সৃষ্টি সুখের উল্লাসে। ঘরের ছেলে যেন ঘরের মাঠে রাজত্বই করেছেন। ৩ রানে ম্যাচ হারার পরেও বাংলাদেশের মুখে হাসির আভাটুকু ওই জাকেরের কল্যাণেই। জাকের মান রাখলেন কোচ সালাউদ্দিনের, মান রাখলেন নির্বাচকদের। সবচেয়ে বড় কথা নিজের এবং দেশের মানটাও অটুট রেখেছেন তিনি।
সিলেটের এই অভিষেক ইনিংসেই জাকেরের সুবাদে দেখা গেল বেশ কিছু রেকর্ড। এর মাঝে বাংলাদেশের টি-টোয়েন্টিতে এক ইনিংসে সবচেয়ে বেশি ছক্কার রেকর্ডটিই সবার চেয়ে এগিয়ে থাকবে। এদিন সিলেটে ৬ টি ছক্কা হাঁকিয়েছেন জাকের। এর আগে ৫ জন ব্যাটার মেরেছিলেন ৫টি ছক্কা।
সে ৫ জনের তালিকাও দেখে নেওয়া যাক। ২০০৭ সালে নাইরোবিতে পাকিস্তানের বিপক্ষে নাজিমউদ্দিন, ২০১২ সালে আয়ারল্যান্ডের বিপক্ষে জিয়াউর রহমান, ২০১৬ সালে ওমানের বিপক্ষে তামিম ইকবাল, ২০১৮ সালে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে লিটন দাস এবং ২০১৯ সালে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে মাহমুদউল্লাহ। নিজের অভিষেক ইনিংসে বাংলাদেশের টি-টোয়েন্টিতে এই ৫ ছক্কার শিকে যেন ছিঁড়লেন জাকের।
শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে প্রথম টি-টোয়েন্টিতে জাকের আলীর স্ট্রাইক রেট ছিল ঠিক ঠিক ২০০। আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টিতে বাংলাদেশের ব্যাটসম্যানদের ৫০ পেরুনো ইনিংসে যা পঞ্চম সর্বোচ্চ স্ট্রাইক রেট। সর্বোচ্চটা এসেছিল মোহাম্মদ আশরাফুলের ব্যাট থেকে। ২০০৭ বিশ্বকাপে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে ২৭ বলে ৬১ রানের দিন তার স্ট্রাইক রেট ছিল ২২৫.৯২।
পরের রেকর্ড অবশ্য পার্টনারশিপে। জাকের-মেহেদীর ২৭ বলের ৬৫ রানের জুটিতে ওভারপ্রতি ১৪.৪৪ রান এসেছে। আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টিতে ৫০ ছাড়ানো জুটিতে যা বাংলাদেশের সর্বোচ্চ। পেছনে পড়েছে ২০২৩ সালে চট্টগ্রামে আয়ারল্যান্ডের বিপক্ষে লিটন-রনির জুটি (১৩.২৮)।
এছাড়া এদিন জাকের এবং মাহমুদউল্লাহর কল্যাণে পুরো ইনিংসে ১১টি ছয় হাঁকিয়েছে বাংলাদেশ। আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টিতে এক ইনিংসে যা দ্বিতীয় সর্বোচ্চ। এর আগে সর্বোচ্চ ১২ ছক্কা এসেছিল দুইবার। ২০১৮ সালে কলম্বোয় শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে ও ২০২০ সালে মিরপুরে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে ছিল ১২টি করে ছক্কা।